কুড়িগ্রাম
রৌমারীতে নদী ভাঙ্গন রোধ করার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
২৮,কুড়িগ্রাম-৪ এর সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: জাকির হোসেন বক্তব্যে বলেন গত ১৬বছরে এ দুটি উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৫৬টি মৌজার মধ্যে ৩৫টি মৌজা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। গৃহহীন হয়েছে ১৯,০০০ পরিবার। মানবেতর জীবন যাপন করছে এসব পরিবারের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। এসব পরিবার বিভিন্ন রাস্তার দুপাশে, হেলিপ্যাডে,এবং আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে ঝুপড়ি তুলে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এছাড়াও রাক্ষসে ব্রহ্মপুত্র নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে ১৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি হাইস্কুল, ২টি মাদরাসা, ১টি তহশিল ভবন, ১টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন,১টি ফাড়ি থানা, ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ৫টি ব্রীজ, ১০টি মসজিদ, ১টি বিএস কোয়াটার, ৭শ হেক্টর জমিসহ ২৮কিলোমিটার কাচা ও পাকা রাস্তা।
রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী বলেন রাক্ষসে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের হুমকির সম্মুখীন হয়েছে এ দুটি উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ২১টি মৌজা, গৃহহীন হবে প্রায় ৭০,০০০ পরিবার। ২৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি কলেজ, ১১টি হাইস্কুল, ৪টি মাদরাসা, ২টি তহশিল ভবন, ২টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ১টি বড় ব্রীজ, ১১টি ফুট ব্রীজ, ৩২টি মসজিদ, ২টি বিএস কোয়াটার, ১২শ হেক্টর জমিসহ ৭৮ কিলোমিটার কাচা ও পাকা রাস্তাসহ রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা সদরের হাজার হাজার কোটি টাকার সরকারী সম্পাদ হারিয়ে যাবে ব্রহ্মপুত্র নদের গর্ভে ।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: রেজাউল ইসলাম মিনু, রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু, রৌমারী নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আলহাজ মো. আব্দুল কাদের (যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা), সাধারণ সম্পাদক মো: আবু হানিফ মাস্টার, মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার সামসুল আলম, বন্দবেড় ইউপি আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক,প্রভাষক আব্দুর সবুর, প্রভাষক রেজাউল ইসলাম রেজা,মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান প্রমূখ। আলোচনা শেষে উপজেলা প্রসাশনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।