কুড়িগ্রাম
রৌমারী ও রাজিবপুরকে জামালপুর জেলায় অর্ন্তভূক্তির চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা
শাহাদাত হোসেন, রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা দুটিকে জামালপুর জেলায় অর্ন্তভূক্তির চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করেছেন রৌমারীবাসী। গতকাল রবিবার বিকাল ৩টার সময় রৌমরী জেলা আনন্দেল বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল প্রতিবাদ সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জাফর আলী বলেন ১৯৭১সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের মুক্তঞ্চল রৌমারী এই ঐতিহাসিক মাঠে ৬৮হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিলো, সেই মুক্তঞ্চলের মানুষে অধিকার নিয়ে যারা ছিনিমিনি করতে চায় তাদের ক্ষমা করা হবে না। রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার মানুষ কুড়িগ্রাম জেলার সাথে আছে থাকবে। ভবিষৎতে রৌমারী মুক্তঞ্চল জেলা বাস্তবায়ন করা চেষ্টা করা হবে। সভার সভাপতি সাবেক এমপি জাকির হোসেন বলেন রৌমারী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সকল রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা নিয়ে আগামী ১ সেপ্টম্বার মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনা সাথে সাৎক্ষাত করে মুক্তঞ্চলের মানুষের প্রাণে দাবী রৌমারী মুক্তঞ্চল জেলা ঘোষনা বিষয় জানানো হবে। আমরা জামালপুর জেলার সাথে অর্ন্তভূক্তি হবো না কুড়িগ্রাম জেলার সাথে আছি থাকবো।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম কোর্টের পিপি আব্রহাম লিংকন, চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শওকাত আলী বীরবিক্রম,রৌমারী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু,চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম ফজলুল হক মন্ডল, শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিল, বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন, যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী, দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিনু, বিএমপির সভাপতি আজিজুর রহমান, জাতীয় পাটির সভাপতি নাসিরউদ্দিন লাল, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল কাদের, মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শামসুল আলম,বাসদ আহবায়ক শেখ মো. আব্দুল খালেক, সিএসডিকে এনজিও পরিচালক আবু হানিফ, রৌমরী প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রাজু, ,সাইফুল ইসলাম,মাইদুল ইসলাম প্রমূখ।