দেশজুড়ে
লক্ষ্মীপুরের ঘুমন্ত গৃহবধূর গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়েছে পাষণ্ড স্বামী
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে যৌতুক না পেয়ে তাহেরা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূকে ঘুমন্ত অবস্থায় শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়েছে পাষণ্ড স্বামী আবদুল মজিদ।
আজ বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ চর আবাবিল ইউনিয়নের উদমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে তাহেরা বেগমকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভোরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়।
অগ্নিদগ্ধ তাহেরা বেগমের চাচা তাজুল ইসলাম জানান, ১০ বছর আগে শরিয়তপুর জেলার মাইজারা গ্রামের শামছুল হক সর্দার এর ছেলে আবদুল মজিদ সাথে তাহেরা বেগমের বিয়ে হয়। গত কয়েক বছর ধরে তাহেরার স্বামী মজিদ যৌতুক দাবী করে আসছিল। যৌতুকের টাকা নিয়ে সে প্রতিনিয়ত তাহেরাকে মারধর করতো। গত ৮/১০ দিন পূর্বে এ যৌতুকের টাকাকে কেন্দ্র করে স্বামী মজিদ তাহেরাকে বেধড়ক মারধর করলে, সে পালিয়ে রায়পুরের উদমারা গ্রামের বাবার বাড়ি চলে আসে। এর জের ধরে বুধবার গভীর রাতে গোপনে স্বামী মজিদ গৃহবধূ তাহেরার বাপের বাড়ি এসে ঘরের বাহিরে দিয়ে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত তাহেরার শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তাহেরার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে মজিদ পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে মূমুর্ষূ অবস্থায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সদর হাসপাতারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ তাহেরা বেগম জানান, গায়ে পেট্রলের গন্ধ পেয়ে হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এ সময় আমার স্বামী আবদুল মজিদ আমার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. চিন্ময় সাহা জানান, অগ্নিদগ্ধ তাহেরা বেগমের শরীরের ২৫ ভাগ পুড়ে গেছে। তার শ্বাসনালীও পুড়ে যাওয়ায় সম্ভবনা রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।