Connect with us

দেশজুড়ে

লক্ষ্মীপুরে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে শিক্ষকের বেতাঘাত, অসুস্থ্য ৩০

Published

on

রুবেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর: জেলার রামগঞ্জ উপজেলায় শ্রেণি শিক্ষক মো. সোলেমানের নিকট প্রাইভেট না পড়ায় শিক্ষকের বেতাঘাতে ৭ম ও ১০ শ্রেণির ৩০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। বেতাঘাতে আহত শিক্ষার্থীদের স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে বলে জানান, রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু ইউসুফ ।
এর আগে সোমবার বিকেলে রামগঞ্জ উপজেলার পানপাড়া উচ্চ বিদ্যলায়ে পরীক্ষা চলাকালীন সময় শিক্ষার্থীদের বেতাঘাত করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন শিক্ষক সোলেমান।
স্থানীয়রা জানায়, পানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ সলেমান দীর্ঘ কয়েকদিন যাবত শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। শিক্ষার্থীরা তার কাছে প্রাইভেট পড়তে রাজি না হলে ওই শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
একপর্যায়ে সোমবার বিকেলে পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে কেন্দ্রে ঢুকে ওই স্কুলের ৭ম ও ১০ শ্রেনীর ৩০জন শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি বেতাঘাত করে পরীক্ষা কেন্দ্রে থেকে বের করে দেয়। এতে ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ফাহাদ হোসেন, ইমন হোসেন, আরমান হোসেন, মিজান হোসেন, ৭ শ্রেনীর শিক্ষার্থী তুহিন হোসেন, এমরান হোসেন, সামাদসহ ৩০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
অবিভাবক জহিরুল ইসলাম বলেন, পানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের বেতাঘাত করে। সেমাবার অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক সোলেমান বেত নিয়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের এলাপাতাড়ি বেতাঘাত করে, পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে বাহির করে দেয়। এবিষয়ে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানালে তারা উল্টো আমাদের সন্তানের পড়া-লেখা বন্ধ করে দিবে বলে হুমকী দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ সলোমান বলেন, আমি প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্বে রয়েছি। প্রাইভেট নয় স্কুল ড্রেস না পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসায় ভয় দেখানোর জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের বেতাঘাত করেছি। অসর্তকতাবসত আঘাতগুলো জোরে হয়েছে।
এবিষয়ে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু ইউসুফ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষরে বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *