দেশজুড়ে
লামার মিরিঞ্জা পর্যটনে লোকলজ্জার কারণে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা
লামা প্রতিনিধি, বান্দরবান:
লোকলজ্জার কারণে লামা উপজেলার মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স ভূ-পৃষ্ট থেকে প্রায় দেড় হাজার ফুট উপরে মিরিঞ্জা পর্যটনের পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী শারমিন আক্তার (১৩) আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। মুমূষর্ুু অবস্থায় তাকে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শারমিন আকতারের পিতা মো. আমির হোসেন জানান, গত শুক্রবার সকালে স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক মো. শওকত হোসেন ও তার সহযোগী মো. জুয়েল জোরপূর্বক শারমিনকে মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। স্কুল থেকে সাত কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত মিরিঞ্জা পাহাড়ের চূড়ায় মেয়েকে আটক করে রাখার খবর পেয়ে তার মা মনোয়ারা বেগম ও স্কুল প্রধান শিক্ষক মো. মফিজ ছুটে আসেন। আত্মমর্যাদার বিষয় বিবেচনা করে ও লোকলজ্জার ভয়ে শারমিন সকলের উপস্থিতিতে পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। লাফ দেয়ার পর গড়িয়ে নিচ দিকে পড়ে যেতে থাকলে উপস্থিত সকলে তাকে উদ্ধার করে। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরে নি।
ইয়াংছা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মফিজ উদ্দিন জানিয়েছেন, স্কুলছাত্রী শারমিনকে মিরিঞ্জা নিয়ে আসার অভিযোগে মো. জুয়েল নামক একজনকে আটক করে পরবর্তিতে তার বড়ভাইয়ের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ছাত্রীর জ্ঞান ফিরলে তার বক্তব্য অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. শহীদুজ্জামান জানান, মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ফুসলিয়ে মিরিঞ্জায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মেয়ের মামা মো. শাহীন জানান, মিরিঞ্জা পর্যটন থেকে শারমিনকে উদ্ধার করার সময় হাতেনাতে মো. জুয়েল নামক একজনকে আটক করে বিশেষ উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তবে অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।