এলাকাবাসী জানান, বুধবার রাতে সিঙ্গীমারী গ্রাসের আলিমুদ্দিনের পুত্র রফিকুল ইসলাম একই গ্রামের মৃত তফিজুল ইসলারে স্ত্রী শিউলীর বাড়ীতে প্রবেশ করেন এ সময় তারা অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অপরাধে রাতেই রফিকুল ইসলাম কে আটক করেন এলাকাবাসী। পরে রাতেই তাদের দুইজনকেই দড়ি দিয়ে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে রাতভর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন। মারধরে ফলে বিধবা শিউলী অজ্ঞান হারিয়ে ফেলে। মায়ের নিযার্তন দেখে শিশু আরিফ (৬) এগিয়ে এলেও তাদের মন গলেনি। অমানবিক নির্যাতন করতে থাকে।
শিশু আরিফ বার বার চিৎকার করে বলছে আমার মা কে ছেড়ে দেও। এলাকাবাসী শিউলীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চায় কিন্তু ওই মাতবরা বাঁধা প্রদান করেন।
রফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে পাওনা টাকার জন্য শিউলীর বাড়িতে আসি। এসময় ওই এলাকার লান্টু, সাবেদ, শাহিন ও ফরিদসহ কয়েক জন গ্রাম্য মাতবর পুর্ব শত্রুতার জের ধরে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে আমাকে আটক করেন।
সিঙ্গীমারী ইউনিয়ন পরিষদর ৮ ওয়ার্ডের ইউনিয়রন সদস্য ছলিমুদ্দিন জানান, খবর পেয়ে রাতেই আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি তারা যে অবৈধ কাজ করেছে তা আমার জানা নেই।
হাতীবান্ধা থানার এস আই মতিয়ার রহমান জানান,আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি তাদের বাঁশের সাথে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পাইনি। তাদের গ্রাম্য শালিসে বিচার হবে বলে জানান।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আব্দুল মতিত প্রধান জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ এলে তদন্তকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে