Connect with us

জাতীয়

লিবিয়ায় ২০ হাজার বাংলাদেশি মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে

Published

on

libiyaবিডিপি ডেস্ক: লিবিয়ায় অবস্থানরত ২০-২৫ হাজার বাংলাদেশি মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস সপ্তাহান্তে ৩/৪ জন বাংলাদেশিকে অপহরণের সংবাদ পাচ্ছে ও তাদের ছাড়িয়ে আনতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এমনকি দূতাবাস কর্মীদের ছাড়িয়ে আনতে কয়েকবার মুক্তিপণ পর্যন্ত দিতে হয়েছে। ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব মোজাম্মেল হক গত দুই বছর এই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে কাজ করছেন।
তার ভাষ্য, লিবিয়াতে বর্তমানে ৪/৫টি সরকার কাজ করছে। ত্রিপোলি নিয়ন্ত্রণ করছে মিলিশিয়ারা। নির্বাচিত সরকারের অবস্থান রাজধানী থেকে বহুদূরে। আরেকটি সরকার বেনগাজী শাসন করছে। এদিকে, জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার তিউনেশিয়া থেকে পরিচালিত হচ্ছে।
মোজাম্মেল বলেন, একমাত্র বাংলাদেশের দূতাবাসই লিবিয়ায় সক্রিয়। তিনি বলেন, ভারতীয় দুতাবাসে একজন মাত্র কর্মকর্তা। পাকিস্তান দূতাবাসের এক কর্মকর্তা মাঝে মধ্যে আসেন। জাতিসংঘ, ইউরোপ,মধ্যপ্রাচ্য এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো লিবিয়ায় তাদের মিশন বন্ধ করে দিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, ৪ জন কর্মকর্তা এবং ১৪ জন কর্মচারি এখানে কর্মরত।
এদিকে,বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তার দূতাবাসের কাউকে অফিস ও বাসার বাইরে কোথাও যেতে নিষেধ করেছেন। মোজাম্মেল বলেন, আমরা সবাই সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকি। আমাদের অনুবাদককে দুবার অপহরণ করা হলে মুক্তিপণ দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনতে হয়।
লিবিয়ায় বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ বললেই চলে। তিনি বলেন, দুই বছর আগে ১ হাজার ২শ’ দিনার খরচ করে হাজার মার্কিন ডলার আয় করতে পারতো। আর এখন হাজার ডলার আয় করতে ৩ হাজার ৮শ’ দিনার ব্যয় করতে হয়। গড়ে একজন বাংলাদেশি শ্রমিক ৫৫০-৬০০ দিনার আয় করে। তবে দেশে টাকা পাঠানোর কোন পথ নেই। এমনকি দূতাবাস কর্মচারিরাও দেশে টাকা পাঠাতে পারছেন না।
বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তা মোজাম্মেল আরো বলেন, নিয়মিত পুলিশ বাহিনী না থাকায় কোনো সহযোগিতাও পাওয়া যাচ্ছে না। ওই কর্মকর্তা বলেন, বেনগাজীতে প্রচুর বাংলাদেশির বসবাস হলেও সেখানকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। গত মাসে সেখানে ৩ বাংলাদেশিকে গুলী করে হত্যা করা হয়েছে।
গত দুই বছর ধরে আমি বেনগাজী যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছি না। এখানে জীবন পদে পদে হুমকির সম্মুখীন হলেও বাংলাদেশিরা সেখান থেকে দেশে ফিরতে চায় না। হাত হারানো এক শ্রমিককে দেশে ফিরে যেতে বললেও তার ভাষ্য ৫ লাখ টাকা খরচ করেছেন। ফিরে গিয়ে কি করবেন মোজাম্মেল জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে লিবিয়া থেকে ৪০ হাজার শ্রমিক ফিরিয়ে আনলেও পরে ২০ হাজার শ্রমিক সেখানে পাঠায়। ঢাকা ট্রিবিউন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *