Connect with us

খেলাধুলা

শ্রীনিবাসনের জীবনে আরেকটি লজ্জা

Published

on

sreenibashস্পোর্টস ডেস্ক : বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইর সাবেক প্রধান নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের অবস্থা অনেকটা তেমনই। ২০১৩ সালের আইপিএলে ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারির সঙ্গে তাঁর জামাতার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠার পর বোর্ড সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন শ্রীনিবাসন। তারপরও গত শুক্রবার বিসিসিআইর বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি বিতর্কিত এই ক্রিকেট প্রশাসকের। শ্রীনিবাসন বার্ষিক সভায় যোগ দিতে পারবেন কি না, তা নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে।

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির চেয়ারম্যান শ্রীনিবাসন। কিন্তু ভারতে তাঁর উপস্থিতি গ্রাহ্য করতে রাজি নন বিসিসিআইর কর্মকর্তারা। ভারতীয় বোর্ডে ‘শ্রীনি’র পক্ষের মানুষের শক্তিও ক্রমে কমে আসছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের জারি করা আদেশ অনুযায়ী বিসিসিআইর সব ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অধিকার হারিয়েছেন শ্রীনিবাসন। কিন্তু তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার প্রধান হিসেবে তিনি বার্ষিক সভায় অংশ নিতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সফল হতে পারেননি। কয়েকজন কর্মকর্তার প্রবল বিরোধিতার কারণে শুক্রবারের সভা স্থগিত করে দিতে বাধ্য হন বর্তমান সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া।

বিসিসিআইর বার্ষিক সাধারণ সভা হতে পারে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর। এই সভায় ‘শ্রীনি’ অংশ নিতে পারবেন কি না, তা জানার জন্য দুই-তিন দিনের মধ্যেই আবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন ডালমিয়া। আইপিএলের সভাপতি রাজীব শুক্লা বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ‘শ্রীনিবাসনের ওপর আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকায় বার্ষিক সভা স্থগিত করা হয়েছে। এখন আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইব। সেখান থেকে সমাধান আসার পর পরবর্তী সভা ডাকা হবে।’

২০১৩ সালের আইপিএলে ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারির সঙ্গে শ্রীনিবাসনের জামাতা গুরুনাথ মায়াপ্পনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিসিসিআইর সঙ্গে ‘শ্রীনি’র সম্পর্কচ্ছেদের আদেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। সেই আদেশ এখনো বলবৎ আছে।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *