জাতীয়
সাঁড়াশি অভিযানে ৩৭ জঙ্গিসহ ৩১৫৫ গ্রেপ্তার
শনিবার বিকেলে পুলিশ সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা একেএম কামরুল আহসান এ তথ্য জানিয়েছেন। এসময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি শুটারগান, ১ রাউন্ড গুলি, ৫০০ গ্রাম গান পাউডার, ১৫টি ককটেল, ২১টি জিহাদি বই, ১৫টি ব্যক্তিগত ডায়েরি এবং ৭৫৭টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
একেএম কামরুল আহসান বলেন, ‘অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৭ জঙ্গির মধ্যে জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ২৭ সদস্য, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশের (জেএমজেবি) সাত সদস্য ও অনান্য জঙ্গি সংগঠনের তিন সদস্য রয়েছেন।’
তিনি জানান, ঢাকা রেঞ্জের গাজীপুর জেলা ১ জন জেএমবি, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ময়মনসিংহ জেলা ১ জন জেএমবি, শেরপুর জেলা ১ জন জেএমবি, রাজশাহী রেঞ্জের রাজশাহী জেলা ৭ জন জেএমজেবি, ২ জন জেএমবি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ৩ জন জেএমবি, সিরাজগঞ্জ জেলা ১ জন জেএমবি, বগুড়া জেলা ১১ জন জেএমবি, খুলনা রেঞ্জের নড়াইল জেলা ১ জন জেএমবি, রংপুর রেঞ্জের দিনাজপুর জেলা ২ জন জেএমবি, গাইবান্ধা জেলা ১ জন জেএমবি, কুড়িগ্রাম জেলা ২ জন জেএমবি, ডিএমপি, ঢাকা ৩ জন এবং আরএমপি, রাজশাহী ১ জন জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া, দেশব্যাপী গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল, নিয়মিত মামলা এবং অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার মামলায় মোট ৩ হাজার ১৫৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১ হাজার ৮৬১ জন, নিয়মিত মামলায় ৯১৭ জন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার মামলায় ১৯ জন এবং মাদক উদ্ধার মামলায় রয়েছে ৩৫৮ জন।
জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগ ছাড়াও এত মানুষকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানতে চাইলে পুলিশ সদরদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (মিডিয়া) মোহাম্মদ শহীদুর রহমান বলেন, বাকিদের কেউ কেউ নিয়মিত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, কেউ মাদক বিক্রেতা বা মাদকসেবী অথবা সন্ত্রাসের নানা অভিযোগ আছে এদের বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও জঙ্গি ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। দেশে অব্যাহত গুপ্তহত্যা ঠেকানোর উপায় হিসেবে এই কৌশল নিয়েছে পুলিশ। এই অভিযান চলবে টানা সাত দিন।