গাইবান্ধা
সাদুল্যাপুর থানার সৌন্দর্য বর্ধণের উদ্ধোধন করলেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন
সাদুল্ল্যাপুর প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থানা চত্তরের সৌন্দর্য বর্ধণের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করা হয়েছে। রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. হুমায়ুন কবীর সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ফলক উন্মচন করেন। এসময় জেলা পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম, সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক, (ওসি, তদন্ত) আবদুল হাকিম আজাদ, জিন্নাত আলী, সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়া খাঁন বিপ্লব, বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল কাউয়ুম হুদা, বণিক সমিতির সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপন, প্রেসক্লাব সভাপতি তাজুল ইসলাম রেজা, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান পলাশ, সাদুল্যাপুর উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুকুল ইসলাম ফারুক, বনগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করীম রেজা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সাদুল্যাপুর থানার কর্মরত সকল পুলিশ সদস্য, সাদুল্যাপুর উপজেলা রাজনৈতিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। উদ্ধোধনের পর ডিআইজি হুমায়ুন কবীর থানার চারপাশ ঘুরে দেখেন। পরে তিনি থানার গোল চত্তরে বসে উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলার খোঁজখবর নেন। ডিআইজি হুমায়ুন কবীর থানার সৌন্দর্য বর্ধণের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উল্লেখ- শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ ও শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনসাধারণের বিনোদনের জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব-কর্তব্য পালন ও শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজ উদ্যোগে থানার চত্তরের চিত্র পাল্টিয়ে মনোরম বিনোদনের জন্য সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ করেন। থানা চত্তরের সৌন্দর্য বর্ধণে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার, সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহা. আহসান হাবীব, সাদুল্যাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল কাউয়ুম হুদা।
উদ্ধোধনের পর থানা চত্তর ঘুরে দেখা যায়, ছোট-বড় বেশ কয়েকটি ফুলের বাগান, সৌন্দর্য বর্ধণে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, পুকুর পাড়ে টাইলস্রে তৈরী একাধিক বসার জায়গা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, পুকুরের মধ্যে প্লাস্টিকের বক, কুমির, ব্যাঙ, সাপ, শাপলা, হাঁস ও ডিঙ্গী নৌকাসহ পুকুরের চাপাপাশে ইটের রাস্তা রয়েছে। পাশাপাশি এখানে রয়েছে ভাস্কার্যের দুটি সিংহ, জিবরা-জিরাপ, হরিণ ও উড়ন্ত পরী, আবদ্ধ কয়েকটি খাঁচায় চায়না ঘুঘু, বাজারীকা, কেমা, চড়ই, গাংচিল, কবুতরসহ ৩০ প্রজাতির পাখি। এছাড়া কয়েকটি খাঁচার মধ্যে খরগোশ ও বেনীপোষসহ বেশ কয়েক প্রজাতীর প্রাণী রয়েছে। অপরদিকে শিশু-কিশোরদের বিনোদন জন্য রয়েছে ঝুলন্ত দোলনা ও শ্লিপার রয়েছে।