জাতীয়
সামাজিক সুরক্ষা খাতে বাজেটের ১২ ভাগ ব্যয় হচ্ছে : পরিকল্পনা মন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার: সরকার জিডিপির ২.২ ভাগ এবং বাজেটের ১২ ভাগ সামাজিক সুরক্ষায় ব্যয় করছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
রবিবার সকালে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘অতি দারিদ্র্য দূরীকরণ : উন্নয়ন কৌশল ও মডেল’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এবছর সামাজিক সুরক্ষা খাতের আওতায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিক্ষিপ্তভাবে ১৪০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ফলে একই ধরনের প্রকল্প বিভিন্ন মন্ত্রণালয় হাতে নিচ্ছে। অপরদিকে, একজন সুবিধাভোগী একই ধরনের বিভিন্ন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন। এ সমস্যা দূর করতে সরকার সামাজিক সুরক্ষা খাতকে ঢেলে সাজাচ্ছে। এখন থেকে একজন ব্যক্তির জীবনচক্র বিশ্লেষণ করে সামাজিক সুরক্ষা কৌশল হাতে নেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম ঠিকমতো চলছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে জাতীয় পর্যায়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় পরিবীক্ষণ ইউনিট থাকবে। সেই সাথে এনজিও এবং উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনগুলোও থাকবে’।
পরিকল্পনা মন্ত্রী দরিদ্রতাকে জাতির জন্য অভিশাপ উল্লেখ করে বলেন, এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে হলে বিভিন্ন কৌশলের সাথে ‘ধর্মীয় মূল্যবোধ’ ও ‘সামাজিক বন্ধন ’ এ দুটো মূল্যবান সম্পদকেও কাজে লাগাতে হবে। আপনারা দেখে থাকবেন আমাদের এখানে পাশের বাড়ির প্রতিবেশিকে অভূক্ত রেখে অপর প্রতিবেশি খায় না। অভূক্ত প্রতিবেশিকে খাবার দিয়ে সেও খায়। আমাদের সামাজিক বন্ধন দৃঢ় বলে ‘বৃদ্ধাশ্রম সংস্কৃতি’ এখানে গড়ে ওঠেনি’।
মন্ত্রী এসময় বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বলেন, ‘২০০০ সালে দারিদ্র্য হার যেখানে ৪৯ ভাগ ছিল এখন তা ২৩ ভাগে নেমে এসেছে। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধামুক্ত করা। আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দারিদ্র্য হার কমায়। আমরা গত দেড় বছরে যেসব প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি তার তিন ভাগের এক ভাগই ছিল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য। রেমিট্যান্সের যথাযোগ্য ব্যবহার দারিদ্র্য হারকে কমিয়ে দেবে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
সভায় পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ সামাজিক সুরক্ষা কৌশলের উপর কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স স্টাডিসের আয়োজনে আজকের সভায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব তরিক উল ইসলাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেজবাহ উদ্দিন হাসেমিসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।