Connect with us

ঢাকা বিভাগ

সার্কেল এবং ওসির প্রচেষ্টায় সালথার নজরুল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

Published

on

আবু নাসের হুসাইন, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার চাঞ্চল্যকর নজরুল ইসলাম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের পর অভিযুক্ত ৯ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন পুলিশ। ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মোঃ শামচুল হক পিএিম ও সালথা থানার ওসি ডী.এম বেলায়েত হোসেনের প্রচেষ্টায় রহস্যে ঘেরা চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তথ্য উদঘাটন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করায় এলাকায় ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছেন পুলিশ।

আজ বুধবার প্রেস ব্রেফিংয়ের মাধ্যমে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ডি এম বেলায়েত হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ২০১৪ সালের ২১ জুলাই সন্ধার পর ময়েনদিয়া বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার রামকান্তুপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া এলাকায় এসে পৌছালে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নজরুল ইসলামকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ সময় নজরুলের সাথে থাকা মকিম মোল্যা ও হোসাইনকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনা আসামীদের বিরুদ্ধে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল ভাঙ্গা) মো. সামছুল হক ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করেন। ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি মোবাইলের সুত্র ধরে ঘটনার তথ্য উদঘাটন করে সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা শুরু করেন তিনি। একপর্যায় ঘটনার সাথে জড়িত আসামী আক্তার মীর, জামাল ফকির, আলিম শেখ ও সাগরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীর্ঘদিন চেষ্টার পর হত্যাকা-ের মুল হোতা আসামী ডালিম মাতুব্বরকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নরঘাতক ডালিম মাতুব্বর এ হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করে। ডালিম মাতুব্বরসহ আরো ৯ জন সন্ত্রাসী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নজরুলকে কুপিয়ে হত্যা করে ও তার দুই সঙ্গীকে কুপিয়ে জখম করে বলে স্বীকার করে। এ সংক্রান্তে সন্ত্রাসী ডালিম আদালতে বিস্তারিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ৫ নভেম্বর ডালিমসহ ৯ আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

নিহতের পরিবার জানান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল ভাঙ্গা) মো. সামছুল হক ও সালথা থানার ওসি ডি এম বেলায়েত হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চাঞ্চল্যকর এ হত্যার তথ্য উদঘাটন করে কুখ্যাত নরঘাতকদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভাব হয়েছে। পুলিশের ভুমিকায় আমরা সন্তোষ্ট।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *