ঢাকা বিভাগ
সালথায় আ’লীগ দু-গ্র“পের সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষে ৮জন আহত হয়। উভয় গ্র“পের ৬টি বাড়িতে ভাংচুর করে সংঘর্ষকারীরা। বুধবার দুপুরে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের জয়ঝাপ গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনার পর উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. রওশন আলীর সমর্থক সোহরাব মাতুব্বার বাড়ি থেকে ফরিদপুর যাওয়ার পথে জয়ঝাপ বাজার থেকে বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাফর মোল্যার সমর্থকরা মারধর করে। এরই সুত্রধরে রওশন আলী ও প্রতিপক্ষ আবু জাফর মোল্যার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সংঘর্ষে গ্রামের তৃতীয় আরেকটি গ্র“প মানিক মাতুব্বারের সমর্থকরা রওশন আলীর সাথে যোগ দেয়। তারপর শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুর। এসময় বিল্লাল মাতুব্বারের ১টি, মোশারফ মেম্বারের ১টি, জাফর মোল্যার ১টি, সাহিদ মোল্যার ১টি ও আব্বাছ মাতুব্বারের ১টি বসত ঘর সহ ৬ বাড়িতে ভাংচুর করা হয়। এতে উভয় গ্র“পের সোহরাব মাতুব্বার (৫৫), লিটন খান (২২), জাহিদ মাতুব্বার (২৩), সিরাজ মাতুব্বার (৪০) সহ ৮জন আহত হয়েছে। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবার সংঘর্ষেও সৃষ্টি হতে পারে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রওশন আলী বলেন, আমার দলের লোক সোহরাব বুধবারে ডাক্তার দেখানোর জন্য ফরিদপুর যাচ্ছিলো। জয়ঝাপ বাজারে পৌছাইলে আবু জাফর মোল্যা হুকুম দিয়ে তাকে মারধর করে।
বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাফর মোল্যা বলেন, আমার লোকজনের সাথে সোহরাবের কথা কাটাকাটি হয়েছে। কোন মারধর হয়নি।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এলাকা শান্ত রাখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ আসেনি।