ঢাকা বিভাগ
সালথায় তরুন নেতা সোহাগ খান নির্বাচিত হওয়ায় ভোটারদের মূখে হাসি
আবু নাসের হুসাইন, সালথা প্রতিনিধি:
পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ৩৭ বছরের তরুন নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদুল ইসলাম খান সোহাগ আটঘর ইউনিয়ন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় ভোটারদের মূখে হাসি ফুটে উঠেছে।
জানা গেছে, সোহাগ খান ১৯৭৭ ইং সালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পিতা মোঃ লিয়াকত আলী খান ও মাতা মোছাম্মাদ আছিয়া বেগমের ঘর আলোকিত করে সোহাগ খান ও তার একমাত্র বোন। কিশোর বেলায় সোহাগ খান ছিলেন নম্র-ভদ্র একজন ছাত্র। ১৯৯৪ ইং সালে ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে এস.এস.সি পাশ করেন। ফরিদপুর ইয়াছিন কলেজে ভর্তি হয়ে বেশ কিছুদিন পড়া লেখা করে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। ২০০৮ ইং সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগদান করেন। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এদিকে তার দাদা মরহুম গোলাম আলী খান ঐ ইউনিয়ণ থেকে বার বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। যার কারণে গোয়ালপাড়া থেকে রনকাইল হয়ে চৌরঙ্গির মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি পূর্বে থেকেই গোলাম আলী খানের নামে নামকরণ করা হয়েছে। দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য সোহাগ খান ২০১৬ ইং সালের ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।
আটঘর ইউনিয়নের সাধারণ ভোটার বলরাম সরকার, কামাল মাতুব্বার, মোঃ ইলিয়াছ মিয়া ও কানাই মাতুব্বার এ প্রতিবেদককে জানান, দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এম.পি ও তার জ্যেষ্টপুত্র আয়মন আকবার বাবলু চৌধুরীকে এলাকাবাসী ফুলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী ও সাবেক বারবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আলী খানের নাতী তরুন সমাজ সেবক শহীদুল ইসলাম খান সোহাগ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় আটঘর ইউনিয়ণবাসীর মূখে হাসি ফুটে উঠেছে।
আটঘর ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম খান সোহাগ এপ্রতিনিধিকে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুঃহসময়ের কান্ডারী, জাতীয় সংসদের উপনেতা, সালথা- নগরকান্দার উন্নয়নের রুপকার, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এম.পির জ্যেষ্টপুত্র, গণমানুষের প্রানপ্রিয় নেতা, আগামী দিনের কান্ডারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়মান আকবার বাবলু চৌধুরীর হাত ধরে ২০০৮ ইং সালে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে দলের জন্য কাজ শুরু করি। সক্রিয়ভাবে দলের জন্য কাজ করায় ২০১৪ ইং সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আমাকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় । দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে দল এবং জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে আসছি। আমার রাজনীতির অবিভাবক বাবলু চৌধুরীর মূখ উজ্জল করার জন্য আটঘর ইউনিয়নের জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। এজন্য আমি আমার নেতা আয়মন আকবার বাবলু চৌধুরী ও আটঘর ইউনিয়ণবাসীর কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো। প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, রাজনীতির শুরু থেকেই বাবলু চৌধুরীর নির্দেশে এলাকায় জনসেবামূলক অনেক কাজ করেছি। আর এখন জনগণ আমাকে চেয়ারম্যান বানিয়েছে, অতএব ইউনিয়ণ পরিষদের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সর্বক্ষন জনসেবায় নিয়োজিত থাকার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।