Connect with us

দেশজুড়ে

সিরাজদিখানে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ভুন্ডলের ষড়যন্ত্র; থানায় অভিযোগ

Published

on

সিরাজদিখান(মুন্সিগঞ্জ)প্রতিনিধি: মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে উপজেলার জৈনসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন এবং জৈনসার ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধাদের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় শোকদিবস পাল ও আলোচনা অনুষ্ঠান নস্যাৎ ষড়যন্ত্র করে ভুন্ডুল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় ও সাংবাদিকদের নিকট লিখিত অভিযোগ হয়েছে। জৈনসার ইউনিয়ন ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জমির উদ্দিন সরদার বলেন,আমি বিগত ১৫ আগস্ট জৈনসার ইউনিয়ন আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জৈনসার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল খায়ের বেপারী ও ইউনিয়নের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্ধসহ উপস্থিত হই। আয়োজিত অনুস্ঠানে দলীয় লোকজন ছাড়া অন্য কোন লোকজন না দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি বি এন পি সমর্থিত বর্তমান মেম্বার ও বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ দুলাল হাওলাদার, জৈনসার ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ তাহের হাওলাদার জৈনসারের প্রতি বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনুস্ঠানে না আসার জন্য ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে, তাই কেউ অনুস্ঠানে আসেনি। এই এলাকা বিএনপির সমর্থন বেশী হওয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালনে স্থানী বিনপির কর্মীরা প্রান নাশের ভয়ভীতি দেখায়। তাই বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষকে অবগত করে আমি নিজে বাদী হয়ে থানায় ও সাংবাদিকদের নিকট লিখিত অভিযোগ করি। উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম সোহরাব হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীনতা এনেছিলাম তারা আমাদের এই স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। পাকিস্তান ও তৎকালীন পশ্চিমা মিত্ররা কখনোই আমাদের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। তারাই চক্রান্ত করেছিল। যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। সেই চক্রান্তের ফল ছিল ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট। সেই ঘাতকের বিচার হয়েছে, বিচারের রায় হয়েছে। অনেকের রায় কার্যকর হয়েছে। এখন চক্রান্ত শোক দিবস নিয়ে। ্এখনো জৈনসারে সেই বিএনপি রাজাকারদের হুংকার মানুষকে ভয়পাইয়ে দেয়। হুংকার দিয়ে ষড়যন্ত্র করে শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ভুন্ডুল করতে চায়। আমরা কখনো এই সড়যন্ত্র সফল হতে দেব না। দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমেই ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তি দিবো। রক্ষা করবোর জাতির জনকের সকল অস্থিত্য। আমরা বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ দুলাল হাওলাদার , জৈনসার ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড সদস মোঃ তাহের হাওলাদারের এহেন ঘটনার বিচার চাই। ‘বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। আজ যারা যারা জৈনসারে চক্রান্ত করেছে তাদের চিহ্নিত করে বিচার করা হবে। সিরাজদিখান থানার ওসি (প্রশাসন) মোঃ ইয়ারদৌস হাসান বলেন,লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *