Connect with us

আন্তর্জাতিক

সীমান্ত বন্ধ করার ঘোষনা মেসিডোনিয়ার

Published

on

22-230আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গ্রিসের সঙ্গে মেসিডোনিয়ার সীমান্ত দিয়ে আর কোনো অভিবাসীকে ঢুকতে দেবে না মেসিডোনিয়ার সরকার। তারা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে এই সীমান্তে অপেক্ষায় রয়েছে ১৩ হাজার অভিবাসী। মেসিডোনিয়া হয়ে তারা ইউরোপের অন্য কোনো দেশে যেতে চায়। কিন্তু ঘোষণা অনুযায়ী মেসিডোনিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দিলে বলকান রাষ্ট্রগুলোতে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা আর পৌঁছাতে পারবে না। বলকান রাষ্ট্রগুলো হলো- আলবেনিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বুলগেরিয়া, ক্রোশিয়া, কসোভো, মেসিডোনিয়া, মন্টিনেগ্রো, রোমানিয়া, সার্বিয়া, স্লোভেনিয়া। এ ছাড়া গ্রিস ও তুরস্ককে অনেকে বলকান রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। মধ্যপ্রাচ্যের অভিবাসীদের বলকান রাষ্ট্রগুলোতে পৌঁছাতে তুরস্ক হয়ে গ্রিস এবং গ্রিস হয়ে মেসিডোনিয়ায় ঢুকতে হচ্ছে। তারপর তারা পছন্দের গন্তব্যে চলে যায়। কিন্তু মেসিডোনিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দিলে অভিবাসীদের পথ বন্ধ হয়ে যাবে অথবা নতুন পথের সন্ধান করতে হবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বর্তমানে অভিবাসীদের নিয়ে চরম বিপাকে আছে ইউরোপ। এ নিয়ে কয়েক দফা গ্রিস ও তুরস্কের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংকট সমাধানের বিষয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছে। কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, তুরস্কের সঙ্গে ইইউর যে চুক্তি হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। এরইমধ্যে মেসিডোনিয়া ঘোষণা দিল, তারা সীমান্ত বন্ধ করে দেবে। সম্প্রতি ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেছেন, ইউরোপে ঢোকার জন্য অভিবাসীদের কোন পথ থাকবে না। ইউরোপে অবৈধ অভিবাসীর দিন শেষ। কিন্তু জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ শীর্ষ স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা তার এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *