গাইবান্ধা
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দেখার যেন কেউ নেই।
জানা গেছে, হাসপাতালের পোষাক বিতরণে অনিয়ম করে ফুলছড়ি উপজেলায় বদলী হওয়া কর্মচারী মাহমুদুর রহমান ওয়ার্ড বয় (অবসরপ্রাপ্ত) শাহানুর রহমান মন্ডলকে পোষাক দেয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলায় ৫৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু থাকলেও ৫৯ টি ক্লিনিকের পরিবহনের টাকা ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। অপরদিকে ৩০ জুন পার হলেও ২ মাসের রোগী পরিবহনের এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে ড্রাইভার নিজেই আত্মসাৎ করেছেন।
শুধু তাই নয়, অফিস সহকারীরাও মাসে ১০/১৫ দিন করে টিএ বিল ভাউচার করে হাজার হাজার সরকারি টাকা আত্মসাৎ করছেন। আর এ সমস্ত অব্যাহত অনিয়ম ও দূর্নীতির মুলহোতা প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক কুঞ্জলতা পাল ও অফিস সহকারী এরশাদুল হক লিটন নির্বিঘ্নে করে যাচ্ছেন। এ সমস্ত অনিয়ম ও দূর্নীতি প্রতিরোধ কল্পে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ মৃধা প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, হাসপাতালের চলমান এসব দূর্নীতি রোধ করতে পারছি না। আমার অধিনস্থ কর্মচারীরা আমার উপর প্রভাব ঘাটিয়ে জোড়-জুলুম করে কাগজপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে অর্থনৈতিক দূর্নীতির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দূর্নীতি প্রতিরোধে আমি কোন হস্তক্ষেপ করতে পারছি না।