দেশজুড়ে
সুস্থভাবে দেশে ফিরলেন ইয়েমেনে আটকা পড়া -প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, রাজশাহী:
দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে গৃহ যুদ্ধপীড়িত ইয়েমেনের রাজধানী সানায় আটকা পড়া বাংলাদেশি দুই প্রকৌশলীর একজন গোলাম মোস্তফা সুস্থভাবে দেশে ফিরেছেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তাকে পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন স্বজনরা।
গত শুক্রবার রাত ২টায় উদ্ধারকৃত ১৮০ জন বাংলাদেশিদের সাথে ফেরেন তিনি। রাত ৩টায় তার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেকে বাড়িতে পৌঁছেন তিনি। প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের ভারতীপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল জব্বার মাস্টারের বড় ছেলে। বৃদ্ধা মা নূরনাহার বেওয়া ও ছোট চার ভাই গ্রামের বাড়িতে থাকেন। তার স্ত্রী তাহমিনা সুলতানা স্বপ্না এবং দুই ছেলে সুমিত ও সজিবসহ রাজধানীর বাড়িতে থাকতেন।
দেশে ফিরে গোলাম মোস্তফা জানান, তিনি আর কোন দিন দেশে ফিরতে পারবেন কিনা এমন দুঃচিন্তায় রয়েছিলেন ইয়েমেনের রাজধানী সানায় শাহরান নামে একটি হোটেলে। তবে দেশে ফিরতে পারায় বাংলাদেশ সরকার ও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি আবেদন জানিয়েছেন যারা এখন পর্যন্ত ইয়েমেনে আটকা পড়ে আছে তাদের উদ্ধারের জন্য। তিনি বলেন, গত ১০ই মার্চ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রজেক্টে (আরএমএফ) রোড রক্ষণাবেক্ষণ কাজ নিয়ে ইয়েমেনের রাজধানী সানা শহরে যান। সানা শহর থেকে একটু দূরে ঈদ শহরের একটি প্রজেক্টে টিম লিডার হিসেবে কাজ করছিলেন। ইয়েমেনের খারাপ পরিস্থিতির কারণে তিনি ২৭ মার্চ শুক্রবার দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। সেজন্য তিনি সানার স্থানীয় একটি বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট ধরতে ওই হোটেলে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার কারণে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেখান থেকে বের হতে পারছিলেন না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে প্রায় তিন হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। তবে ইয়েমেনে অবস্থান করা বাংলাদেশিরা বলছেন এ সংখ্যা অন্তত ১০ হাজার। এ পর্যন্ত ৫৫৩ বাংলাদেশি দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করিয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে সানাতে তিনদিনের জন্য জরুরি বিমান অবতরণের অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ। জিবুতিতেও বিমান পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ইয়েমেনের আকাশ পথের নিয়ন্ত্রণ এখন সৌদি আরবের হাতে থাকায় সৌদি সরকারের কাছে সানাতে বিমান অবতরণের অনুমতি চায় ঢাকা।