দেশজুড়ে
সৈয়দপুরে পাটের আবাদ কমেছে
সৈয়দপুর প্রতিনিধি, নীলফামারী:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পাটের আবাদ কমেছে। প্রতিবছর এই পাট অবাদের পরিমাণ কমছে। ফলে এখানকার কৃষক সোনালী আঁশ নিয়ে আর সোনালী স্বপ্ন দেখেন না। শুধুমাত্র জ্বালানি হিসাবে পাটখড়ি ব্যবহারের প্রয়োজনে পাটের আবাদ করছেন।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, নীলফামারী জেলার ৬টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে কম পাট আবাদ করা হয়েছে সৈয়দপুরে। পাট চাষের অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ডোমারে ২ হাজার ৫২৫ হেক্টর, ডিমলায় ১ হাজার ৪৫০ হেক্টর, জলঢাকায় ২ হাজার ২৭৫ হেক্টর, কিশোরীগঞ্জে ৯৯৫ হেক্টর, নীলফামারী সদরে ৩ হাজার ৮১০ হেক্টর এবং সৈয়দপুর উপজেলায় ৩৭০ হেক্টর। দেশি জাতের পাট রয়েছে ১ হাজার ৮৯০ হেক্টরে এবং তোষা জাতের ৯ হাজার ৫৩৫ হেক্টরসহ মোট ১১ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে চলতি বছরে পাটের আবাদ করা হয়েছে।
সৈয়দপুরে গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। কারণ হিসাবে কৃষকরা জানায়, সোনালী আঁশ বাজারজাতকরণে ও পাটজাগ দিতে পানি সমস্যা এবং দাম না পাওয়া প্রভৃতি কারণে পাটের আবাদ কমিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া পাটজাতপণ্য ব্যবহার না হওয়ায় চাহিদাও কমেছে পাটের। শুধুমাত্র জ্বালানি হিসাবে ব্যবহারের জন্য সামান্য কিছু জমিতে কৃষকরা পাটের চাষ করেছেন। কৃষকরা বর্তমানে বিকল্প ফসলের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। উপজেলার কামারপুকুর, বোতলাগাড়ি, খাতামধুপুর, কাশিরাম বেলপুকুর ও বাঙ্গালিপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, ধান, ভুট্টা, মরিচ, পটল, ঢেঁড়স, করলা, বরবটি, সবজি ক্ষেতের ফাঁকে ফাঁকে এক চিলতে জমিতে পাট বুনেছেন। পাটের দামে কৃষকের স্বচ্ছলতা নির্ভর করলেও এখানকার কৃষকরা প্রতিবছর দাম না পাওয়ায় সোনালী আঁশ নিয়ে আর স্বপ্ন বুনছেন না।