Connect with us

বিশেষ নিবন্ধ

হে অপরাধীরা!

Published

on

 রিয়াদুল হাসান :
কোর’আনে আল্লাহ বহুবার ‘মুজরিমুন’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন যার অর্থ হচ্ছে অপরাধীগণ (Criminals, sinners, disbelievers, polytheists)। হাশরের দিন প্রথমেই সমস্ত অপরাধীদের আলাদা করে ফেলা হবে। আল্লাহ বলবেন, হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও (সুরা ইয়াসীন ৫৯)। কেয়ামতের নির্দিষ্ট ক্ষণ যখন এসে যাবে, অপরাধীরা হতাশায় নিমজ্জিত ও বিপর্যস্ত হয়ে যাবে (সুরা রূম ১২)। শিঙ্গায় ফুৎকারের দিন তাদেরকে সমবেত করা হবে তৃষ্ণার্ত ও অন্ধ অবস্থায় (সুরা ত্বা-হা ২০)। তাদেরকে পরস্পরের সঙ্গে শৃংখলবদ্ধ দেখা যাবে (সুরা ইব্রাহীম ৪৯)। আর আমলনামা সামনে রাখা হবে। তাতে যা আছে তার কারণে অপরাধীদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত দেখা যাবে। তারা বলবে: হায় আফসোস! এ কেমন আমলনামা। এ যে ছোট বড় কোন কিছুই বাদ দেয়নি-সবই এতে রয়েছে। তারা তাদের কৃতকর্মকে সামনে উপস্থিত পাবে। তারা তাদের পালনকর্তার সামনে নতশির হয়ে বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা দেখলাম ও শ্রবণ করলাম। এখন আমাদেরকে পাঠিয়ে দিন, আমরা সৎকর্ম করব। আমরা দৃঢ়বিশ্বাসী হয়ে গেছি। সেদিন আল্লাহ কারও প্রতি জুলুম করবেন না (সুরা কাহাফ ৪৯)। তাদের পরিচয় পাওয়া যাবে তাদের চেহারা থেকে; তাদের কপালের চুল ও পা ধরে টেনে জাহান্নামের দিকে নেয়া হবে (সুরা রহমান ৫৭)। তাদেরকে পিপাসার্ত অবস্থায় জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে (সুরা মরিয়ম ৮৬)। তারা আগুন দেখে বুঝে নেবে যে, তাদেরকে তাতে পতিত হতে হবে এবং তারা তা থেকে রাস্তা পরিবর্তন করতে পারবে না (সুরা কাহাফ ৫৩)। তারা জাহান্নামের আযাবে চিরকাল থাকবে (সুরা যুখরুফ ৭৪)।
এই হচ্ছে মুজুরিমদের সম্পর্কে আল্লাহর ঘোষণা। আল্লাহ রহমতকে তাঁর নিজের নফসের জন্য সাব্যস্ত করে নিয়েছেন (সুরা আনআম ৫৪)। কিন্তু এই মুজরিমদের জন্য তাঁর কোন দয়া নাই, কোনো ক্ষমা নেই। সুতরাং কারা এই মুজরিম বা অপরাধী তা বুঝে নেওয়া জরুরি।

আজকের ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে আলেম সাহেবরা বলে থাকেন, যারা নামাজ, রোজা করে না তারা অপরাধী, নতুবা চুরি, ডাকাতি করে তারা অপরাধী। এমনকি আবিষ্কার করা হয়েছে যে, এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে ৮০ হুকবা জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। কিন্তু আল্লাহর দৃষ্টিতে যারা এই দুনিয়ার বুকে আল্লাহর হুকুম অমান্য করে অশান্তির সৃষ্টি করেছে, ফাসাদ সৃষ্টি করেছে এবং যারা অশান্তি দূর করার চেষ্টা করে নি, নিরব থেকেছে, অশান্তি হতে দিয়েছে তারা সবাই মুজরিম।

তারপর যারা শেরক করবে অর্থাৎ মোশরেক তারা মুজরিম। কারণ আল্লাহ কোর’আনে বার বার অঙ্গীকার করেছেন যে, তিনি অন্য সকল অপরাধ যাকে খুশি ক্ষমা করবেন কিন্তু শেরক তিনি কখনোই ক্ষমা করবেন না। বর্তমানে মনে করা হয়, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উপাসনা করাই শেরক যেমন মূর্তিপূজা, মাজারপূজা ইত্যাদি। কিন্তু প্রকৃত শেরক এগুলো নয়। আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে অন্যের বিধান মানাই হচ্ছে প্রকৃত শেরক, যেটা মুসলিম দাবিদার জাতিসহ সমগ্র মানবজাতিই করে যাচ্ছে। সমগ্র পৃথিবীতেই বর্তমানে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ইত্যাদির দ্বারা প্রণীত হচ্ছে বিধান যা আল্লাহর বিপরীতে মানুষের সামনে দাঁড় করাচ্ছে দ্বিতীয় ইলাহ বা বিধাতা।

তারাও মুজরিম যারা সমাজের অন্যায়, অবিচার অর্থাৎ অশান্তি দেখেও তার প্রতিরোধ করে না, বন্ধ করার জন্য সংগ্রাম, জেহাদ করে না, নীরবতা পালন করে। সে আস্তিক বা নাস্তিক, আলেম বা মূর্খ, মুত্তাকী বা বেপরোয়া, নামাজী বা বে-নামাজী যা-ই হোক না কেন, সে মুজরিম। আল্লাহ মো’মেনদের ব্যক্তিগত দোষ-ত্র“টি ও গুনাহ ক্ষমা করবেন, মো’মেনদের অপরাধ গোপন করবেন, এমন কি মো’মেনদের গোনাহকে পুণ্য দ্বারা প্রতিস্থাপিত করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে চোর-ডাকাতকে অপরাধী বা ক্রিমিনাল বলা হয়। চুরি করলে হাত কেটে দেওয়া আল্লাহর বিধান। আর যদি কোনো মো’মেনের চুরি করার স্বাক্ষী প্রমাণ না পাওয়া যায় তাহলে তো সে পরকালে চলে গেল। তার এই দুনিয়াতে শাস্তি হলো না। তাহলে কি সে পরকালে চুরি করার জন্য জাহান্নামে যাবে? অসম্ভব। আল্লাহ মো’মেনদেরকে শাস্তি দিবেন এমন কোনো কথা কোর’আনে কোথাও নেই। চুরির অপরাধে তার জান্নাতের স্তর অর্থাৎ পুরস্কার ও সম্মান কমে যাবে, কিন্তু আল্লাহ তাকে জাহান্নাম দিবেন না। তাছাড়া আল্লাহ মো’মেনদের রিপুজনিত দোষ-ত্র“টি গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন অসংখ্যবার। যারা অন্যায় হতে দেন নি, অন্যায় প্রতিরোধ করছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন, তারাই মো’মেন, তাদের জন্যই গুনাহ মাফ। বাকীরা হলো অপরাধী, তাদের হজ্ব, যাকাতে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। বর্তমানে আমাদের সমাজের পরহেজগার ব্যক্তিরা নামাজ, রোজা ইত্যাদির দ্বারা পুণ্য সংগ্রহ করে তা নিয়ে হাশরের দিন মিজান নামক পাল্লায় চাপিয়ে জান্নাতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন কারণ প্রচলিত বিকৃত ইসলামে নেক আমল বলতে ব্যক্তিগত সততা ও নামাজ-রোজা ইত্যাদিকেই বোঝানো হয়। সেখানে সমাজের অন্যায়কে প্রতিহত করার কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এ কারণে সমাজ অন্যায় অবিচারে ছেয়ে গেলেও, অনাহারী, নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের আর্ত চিৎকারে বাতাস ভারি হয়ে উঠলেও ধর্মপ্রাণ মানুষেরা মাথা নিচু করে পাঁচ ওয়াক্ত মসজিদে ছুটছেন, রোজা রাখছেন, তারাবি পড়ছেন, হজ্বে যাচ্ছেন সওয়াবের আশায়। আল্লাহ বলছেন, “আমি কি তোমাদের এমন লোকদের কথা বলব, যারা আমলের দিক থেকে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত? (এরা হচ্ছে) সেসব লোক যাদের সকল প্রচেষ্টা এ দুনিয়ায় বিনষ্ট হয়ে গেছে, অথচ তারা মনে মনে ভাবছে, তারা (বুঝি) ভালো কাজই করে যাচ্ছে।” (সুরা কাহাফ: ১০৩-১০৪)। কিন্তু আল্লাহর দৃষ্টিতে তারা সবাই মুজরিম (ঈৎরসরহধষ) হয়ে আছে। তাদের জন্য হাশরের দিন চূড়ান্ত শাস্তি অপেক্ষা করছে।

আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই তোমাদের পূর্বে বহু দলকে ধ্বংস করে দিয়েছি, যখন তারা সীমালংঘনকারী হয়ে গেছে। অথচ রসুল তাদের কাছেও সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু কিছুতেই তারা ঈমান আনল না। এমনিভাবে আমি শাস্তি দিয়ে থাকি অপরাধী সম্প্রদায়কে (সুরা ইউনুস ১৩)’। সুতরাং যারা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা সুস্পষ্ট প্রমাণ দেখেও তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে নি, তারা শাস্তিযোগ্য অপরাধী অর্থাৎ মুজরিম। সেই ধ্বংসপ্রাপ্তদের সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ আল্লাহ মানুষকে দেখার জন্য বার বার আহ্বান করেছেন যেন মানুষ সতর্ক হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে, কওমে লুত, আস-সামুদ ইত্যাদি জাতিকে আল্লাহ যখন ধ্বংস করলেন তখন সে জাতিগুলোর মধ্যে কি ভালো মানুষ, মুত্তাকি মানুষ ছিলেন না? অবশ্যই ছিলেন। কিন্তু তাদের সততা, ভালো মানুষির তোয়াক্কা আল্লাহ করেন নি। অন্যায় (মুনকার) দেখেও নীরব থাকা এবং তা নির্মূলের লক্ষ্যে কাজ না করার ব্যাপারে আল্লাহ মুসলিমদেরকে শাস্তির ভয় দেখিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, “তোমাদের পূর্ববর্তী জাতিগুলোর মধ্যে এমন সৎকর্মশীল কেন রইল না, যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে বাধা দিত; তবে মুষ্টিমেয় লোক ছিল যাদেরকে আমি তাদের মধ্য হতে রক্ষা করেছি। আর পাপিষ্ঠরা তো ভোগ বিলাসে মত্ত ছিল যার সামগ্রী তাদেরকে যথেষ্ট দেয়া হয়েছিল। আসলে তারা ছিল মহা অপরাধী।”

আয়াতটি লক্ষ্য করুন। এখানে আল্লাহ বলছেন যে পূর্বে তিনি যে জাতিগোষ্ঠীগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছেন তাদের মধ্যে তিনি এমন সৎকর্মশীল লোক পান নি যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় ঘটাতে বাধা দিত। তাই তিনি পুরো জাতিকেই ধ্বংস করে দিয়েছেন। তবে মুষ্টিমেয় কিছু সংখ্যক লোককে তিনি রক্ষা করেছেন যারা অন্যায় প্রতিরোধের জন্য কাজ করেছে, অপরাধীদেরকে সঠিক পথের দিকে আহ্বান করেছে। কিন্তু অপরাধীরা পার্থিব ভোগবিলাস নিয়েই মত্ত থেকেছে। সুতরাং জাতি ধ্বংস হয়ে গেলেও কিছু লোক ব্যক্তিগতভাবে যদি আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচতে চায় তবে একটাই পন্থা আছে, ন্যায়ের প্রতি আহ্বান করা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টি করা। এ হচ্ছে আল্লাহর বাণী। এবার জানা যাক আল্লাহর রসুল কী বলেছেন।

১. হুযায়ফা বিন আল ইয়ামান (রা.) থেকে বর্ণিত যে রসুলাল্লাহ বলেছেন, “সেই সত্তার শপথ যার হাতে আমার জীবন, তোমরা অবশ্যই সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজের নিষেধ করবে, অন্যথায় আল্লাহ তোমাদেরকে শাস্তি দিবেন, তখন তোমরা তাঁর কাছে প্রার্থনা করবে (সাহায্য চাইবে) কিন্তু তিনি সাড়া দিবেন না।”

২. হাইসাম (রা.) বলেন, “আমি রসুলাল্লাহকে বলতে শুনেছি, ‘কোন সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে কিছু লোক যদি অন্যায় কাজ সংঘটিত করে এবং সেটা পরিবর্তন করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তারা সেটা না করে তাহলে আল্লাহ্ তাদের সবার উপরে আযাব নাযিল করেন’”।
৩. রসুলাল্লাহ বলেন, “কিছু বিশেষ লোকের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহ্ সমস্ত মানুষকে শাস্তি দেন না, যদি না তারা নিজেদের মধ্যে অপকর্ম সংঘটিত হতে দেখে এবং পরিবর্তন করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তা না করে। যদি তারা এরূপ আচরণ করে তাহলে তিনি সেসব বিশেষ লোকের পাশাপাশি অন্যান্য সাধারণ মানুষকেও শাস্তি প্রদান করেন (আহমাদ)”।

সুতরাং যে জনগোষ্ঠীতে অন্যায় হয় এবং অন্যরা তা প্রতিহত করে না, সেই গোটা জনগোষ্ঠী আল্লাহর গজবের যোগ্য। সমাজ থেকে অন্যায় দূর করার ক্ষেত্রে জ্ঞানীদের দায়িত্ব অগ্রগণ্য। আমাদের শিক্ষিত, আলেম, জ্ঞানী-গুণীদের প্রতি আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, আপনাদের জ্ঞানকে মানবতার কল্যাণে ব্যবহার করুন। এই জ্ঞান নিয়ে যদি এইভাবে কবরে চলে যান তাহলে আল্লাহর কাছে কঠিন জবাবদিহি করতে হবে। যে জ্ঞানীর জ্ঞান আর যে ধনীর ধন আল্লাহর রাস্তায় অর্থাৎ মানবতার কল্যাণে কাজে লাগে না জ্ঞান ও ধন হাশরের দিন তাদের কোনো উপকারে আসবে না। জ্ঞান পৃথিবীর মানুষের কল্যাণের জন্য, কবরে নিয়ে যাওয়ার জন্য না। অনেকটা এক শিশি আতরের মতো। প্রত্যেকটা ফোটা নিংড়িয়ে মানবজাতিকে দিতে হবে, শিশিতে রেখে দিলে তার উদ্দেশ্য ব্যর্থ। আর যে তার জ্ঞানকে কেবল নিজের স্বার্থে ব্যবহার করল সে সবচেয়ে বড় অভিশপ্ত, মালাউন, জাহান্নামী। সে ঐ জ্ঞানের প্রতি অবিচার করেছে, জ্ঞানের অপচয় করেছে। জ্ঞান প্রাকৃতিক সম্পদের মতো আল্লাহর দান, এর কোনো বিনিময় চলে না। বিনিময় নেওয়া হলে সেই জ্ঞানটা বিষ হয়ে যায়। তা যাকে দেওয়া হয় তার ক্ষতিসাধন করে, তাকে স্বার্থপর, অমানুষ ও অপরাধী করে তোলে। সূর্য একদিন নি®প্রভ হয়ে যাবে আলো দিতে দিতে। কিন্তু যে জ্ঞানী তার জ্ঞান মানবজাতিকে পথ প্রদর্শন করতে বিতরণ করে যায় তার জ্ঞানসূর্য দিন দিন উজ্জ্বলতর হতে থাকে। হাশরের দিন তার মুখমণ্ডলের সেই উজ্জ্বলতা চোখ ধাঁধিয়ে দেবে। অপরপক্ষে আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপরদের মুখমণ্ডল হবে কালিমালিপ্ত।

মুজরিম না হওয়ার জন্য একটাই পথ: সর্ব প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য
আমরা অর্থাৎ হেযবুত তওহীদের সদস্যরা একটি বিশেষ কারণে আল্লাহর কাছে দায়বদ্ধ আছি, সেটা হলো মহান আল্লাহ মানবজাতিকে যাবতীয় অন্যায়-অশান্তি থেকে মুক্ত করে শান্তিময় সমাজ গঠনের উপায় বা জ্ঞান এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীকে দান করেছেন। তিনি সেটা আমাদেরকে দিয়ে গেছেন। তিনি চরম অসুস্থ অবস্থাতেও আমাদেরকে সর্বসময়ে শিক্ষা দিয়েছেন। যখন চোখে ভালো দেখতেন না, তখনও কষ্ট করে অন্যকে দিয়ে লিখিয়েছেন। তাঁকে আল্লাহ যা দিয়েছেন তার একটি শব্দও তিনি আমাদেরকে দিতে বাদ রাখেন নি। তাঁর কাছ থেকে আমরা কোনটি সঠিক পথ ও কোনটি ভুল পথ তা নির্ধারণ করতে শিখেছি। এই জ্ঞান পৃথিবীর অন্য মানুষ পায় নি। তাদের হৃদয়ে এখনো তালাবন্ধ, হৃদয়ের চক্ষু এখনো দৃষ্টিহীন, কিন্তু আল্লাহ দয়া করে আমাদের হৃদয়ের দুয়ার খুলে দিয়েছেন। এখন যদি এই জ্ঞান নিয়ে আমরা ঐ পশুর মতো জীবন যাপন করি, মানুষকে না জানাই আর এভাবেই কবরে চলে যাই, হাশরের দিন আল্লাহর রসুল ও এমামুয্যামানের সামনে দাঁড়াতে পারব না। এজন্য আমরা সর্ব উপায়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের কাছে সত্য কী তা তুলে ধরার জন্য। আল্লাহ সকলকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তওফিক দান করুন। আমীন।
[ মতামতের জন্য ০১৭১১০০৫০২৫]

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *