২৬ জুন শুক্রবার বহুল আলোচিত দহগ্রাম ও আঙ্গোরপোতা ছিটমহল মুক্ত দিবসে তিনবিঘা করিডোর গেটে উভয় দেশের ছিটবাসীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষনা দেন তিনি।
ঘোষনার পর বক্তব্যে দিপ্তীমান গুপ্ত বলেন, আমার বাবা দীপক সেন গুপ্ত যে স্বপ্ন ছিল সেটি আপনাদের হাত না হলে আজ সফল হতো না। তাই ০৬ জুলাই রাতে আর্ন্তজাতিক ভাবে উভয় দেশের সরকার ছিটমহলবাসীর জনগননা শুরু করবে। এটাই হবে ছিটমহললের বিজয় দিবস। তাই ১লা আগষ্টের প্রত্যুষে প্রদীপ জ্বালিয়ে সকলকে বিজয় দিবস উৎযাপনের আহবান জানান তিনি।
ছিটমহল বিনিময় বাস্তবায়নের দাবির দীর্ঘ আন্দোলনের পরিসমাপ্তিতে উভয় দেশের নাগরিকদের অনুরোধ জানিয়ে দীপ্তিমান গুপ্ত বলেন, দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রমান করুন, আপনাদের আন্দোলন শ্রেষ্ঠ, আপনাদের দাবি শ্রেষ্ঠ। দেশপ্রেম দিয়ে বুঝিয়ে দিন ৬৮ বছরের বন্দি জিবনের বেদনা। মানুষ হয়ে মানুষের জন্য লড়াই করুন, মানুষ হয়ে মানুষের পক্ষে কথা বলুন। মিথ্যার আশ্রয় না নিতে উভয় দেশের ছিটমহলবাসীর প্রতি উদ্দ্যত্ত আহবান জানান তিনি।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ভারত বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির ভারত ইউনিটের সম্পাদক সম্মেন দাস, বাংলাদেশ ইউনিটের সভাপতি মঈনুল হক, সম্পাদক গোলাম মোস্তফা। এছাড়াও ২৬ জুন করিডোর মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষ্যে দহগ্রাম আঙ্গোরপোতায় মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এ সময় ভারত বাংলাদেশ উভয় দেশের ১৬২টি ছিটমহলের মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, ইন্দ্রগান্ধি, শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদী ও মমতা ব্যানার্জিকে অভিনন্দন জানিয়ে মিছিল নিয়ে নিজ নিজ দেশে কাটাতারের বেড়ার অভ্যন্তরে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশের শুরুতে ছিটমহল বিনিময়ের দাবিতে শাহাদাত বরনকারী শহীদদের আত্তার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।