জাতীয়
৩৬ ঘন্টার রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন ঢাকায়
নিজস্ব প্রতিনিধি : দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে তাকে বহনকারী ‘এয়ার ইন্ডিয়া-ওয়ান’ ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে নরেন্দ্র মোদিকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিমানবন্দরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে গার্ড অব অনারে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়। ৩৬ ঘণ্টার বাংলাদেশ সফরকালে নরেন্দ্র মোদি সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থান করবেন।
বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের ক্ষমতাবান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই সফরে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আর বন্ধন ভিন্ন মাত্রা পাবে ও নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। ৩৪ ঘণ্টার সফরে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে অন্তত ২০টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও প্রটোকল স্বাক্ষর ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা সহজ ও দু’দেশের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর ঘোষণা দেবেন।
এক বছর আগে বিপুল বিজয়ের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন মোদী। এক বছর ধরে নানা আয়োজন, প্রস্তুতি ও আলোচনার পর বাংলাদেশে বহুল প্রতীক্ষিত সফর করছেন নরেন্দ্র মোদী। এক বছরে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, কয়েকটি প্রতিবেশীসহ ১৮টি দেশ সফর করলেও বাংলাদেশে আসতে তাত্পর্য ও গুরুত্ব বিবেচনায় এক বছর অপেক্ষা করেন তিনি। এরই মধ্যে ৪১ বছর আগে স্বাক্ষরিত স্থল সীমান্ত চুক্তি এপ্রিলে পার্লামেন্টে পাস করান প্রধানমন্ত্রী মোদী।
সীমান্ত বিল পাসের পরই মোদীর সফর নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক তোড়জোড়। এক মাসের মধ্যেই ঢাকা আসার দিনক্ষণ ঠিক হয়। নরেন্দ্র মোদী সিদ্ধান্ত নেন অতীতের ঝুলে থাকা সব ইস্যুর সন্তোষজনক নিষ্পত্তি করে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক আরো সুদূর ও উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাবেন। অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক , সীমান্ত, জ্বালানি, নিরাপত্তা, পানি সম্পদ সবক্ষেত্রেই সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবেন। বাংলাদেশও সব সময় বৃহত্ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে উষ্ণ ও গভীর সম্পর্ক স্থাপনে এগিয়ে আসছে। বিশেষ করে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক নতুন মাত্রা পায়। ২০১০ সালে তিনি ভারত সফর করেন এবং ২০১১ সালে তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঢাকা আসেন।
Continue Reading