Connect with us

খুলনা

তেরখাদার সদর ও ছাগলাদাহ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের সংবাদ সম্মেলন।

Avatar photo

Published

on

Photo (1)

গতকাল খুলনা প্রেস ক্লাবে,বিকাল- ৫ ঘটিকায় সাংবাদিক মানিক সাহা মিলনায়তনে তেরখাদার সদর ও ছাগলাদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি’র মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে তেরখাদা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনেরএক  সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তেরখাদা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের পক্ষে-তেরখাদার সদর ও ছাগলাদাহ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের  সাধারন সম্পাদক কে এম আলমগীর হোসেন বলেন  তেরখাদার দুইটি ইউনিয়ন যথাক্রমে- তেরখাদা সদর ও ছাগলাদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পূণঃ তফসিল দাবী জানিয়ে জেলা বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করেছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তাদের মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়পত্র ছিনতাই, সন্ত্রাসী হামলা, হুমকি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ প্রশাসনের নিস্কৃয়তা এবং রিটার্নিং অফিসারের পক্ষপাত দুষ্ট আচারনের যে অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক এবং তাদের আজন্ম মিথ্যাচারের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই না। দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদের উৎসব মূখর পরিবেশে চলমান এই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে তারা প্রশ্ন বিদ্ধ করা ও প্রার্থী বাছাইয়ে নিজদের ব্যর্থতা ঢাকার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ গত ২৩ ফেব্র“য়ারী তাদের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করে।

তিনি আরো বলেন  বিএনপি তেরখাদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের জন্য তাদের দলীয় কথিত প্রার্থী এস এম মহিবুল্লাহ একাধিক মামলার পলাতক আসামী। এছাড়া তিনি ১৫ বছর আগে অজ্ঞাত কারনে তার ডান হাত হারান। অনেকে বলেন তিনি বোমা তৈরীর সময় আবার অনেকেই বলেন বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে তিনি পঙ্গত্ববরণ করেছেন।

এছাড়া তিনি তাদের দলের ভিতরের একটি বিতর্কিত ও অযোগ্য ব্যক্তি। যে কারনে তার নাম প্রস্তাব করা হলে বিএনপি’র সক্রিয় কর্মীরা তাকে মেনে নিতে পারে নাই। যে কারনে তেরখাদা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি কাউছার চৌধুরী গ্র“প ও আর এক প্রভাবশালী সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম হোসেন গ্র“পের মধ্যে চরম বিরোধের সৃষ্টি হয়। নিজেদের এই দ্বন্দের কারনে এস এম মহিবুল্লাহ মনোনয়পত্র কিনেও ইচ্ছাকৃতভাবে নিজে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়পত্র জমা দেননি। এছাড়া তিনি যেহেতু পলাতক জীবন যাপন করছেন, সেকারনে গ্রেফতারের ভয়ে তিনি নিজেই প্রার্থী হতে চাননি। এই বিষয়গুলি আপনারা তদন্ত করলেই এর সত্যতা পাবেন। এস এম মহিবুল্লাহ কালিয়া থানার কুঞ্জপুর গ্রামের এনামুল শেখ হত্যা মামলার এজাহার নামিয় আসামী, যাহার জি আর নং- ০৫/১৫, তারিখ- ১১/০২/১৫ইং, তেরখাদা থানার মামলা নং- ৪, তারিখ- ১৩/৪/১৫ইং, এর এজাহার নামীয় আসামী। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট, নাশকতা ও অগ্নি সংযোগের অভিযোগ করেন।অন্যদিকে তেরখাদার ছাগলাদাহ ইউনিয়নে বিএনপি’র কথিত প্রার্থী মানজুর হাসান দারু এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী চরমপন্থী সর্বহারা পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার নাহিদের আপন বড়ভাই। সেও ৩টি মামলায় পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলাগুলি হচ্ছে যথাক্রমে- তেরখাদা থানার মামলা নং- ৪, তারিখ- ১৩/৪/১৫, তেরখাদা থানার মামলা নং-৩, তারিখ- ৯/২/১৫। নাশকতা অগ্নি সংযোগ, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে দায়েরকৃত এই দুই মামলা বর্তমানে তদন্তধীন রয়েছে এবং তেরখাদা জি আর ১২৭/১৪ নং মামলাটিতে তার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় অভিযোগ পত্র দাখিল হয়েছে এবং মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

এছাড়া এই কথিত প্রার্থী খুলনায় একটি ফ্লাক্সিলোডের ব্যবসা করতেন। দীর্ঘদিন ধরে এলাকা ছেড়ে পলাতক জীবন যাপন করায় এলাকায় মানুষের সাথে জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। তার মত অযোগ্য প্রার্থীর নাম ঘোষনা করায় দলের মধ্যে চরম অন্তোষ ও দন্দের সৃষ্টি হয়। একারনে সেও মনোনয়পত্র দাখিল করেনি। অথচ অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের চ্যাম্পিয়ন বিএনপি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মনোনয়ন পত্র ছিনতাই, হুমকি, পুলিশের নিস্ক্রিয়তার মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। আমরা এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি আমরা আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সফল করার জন্য এধরনের মিথ্যাচার না করে নির্বাচনী মাঠে থেকে গনতন্ত্রের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করার আহবান জানাই।

কে এম আলমগীর হোসেন আরো বলেন বিএনপি’র সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো অভিযোগ করেছে, “অতিতে এসরকার নির্বাচন কমিশনের অধিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, পৌরসভার নির্বাচন কোনটিই সুষ্ঠু হয় নাই”- তাহলে আমাদের প্রশ্ন ঐ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু কিভাবে খুলনা-২ আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন? বিগত খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কিভাবে মনিরুজ্জামান মনি মেয়র নির্বাচিত হলেন? এছাড়া বিগত পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ ও কয়রা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাদের প্রার্থী বিজয়ী হলেন? বিগত নির্বাচন সমূহের জলন্ত সাক্ষী আপনারা নিজেরাই। খুলনার মতই সারা দেশে বিগত সকল নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে বিএনপি অগ্নি সন্ত্রাস, পেট্রোল সন্ত্রাস, গাছ কাটা সন্ত্রাস, রেল সন্ত্রাস সহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারনে জনবিচ্ছিন্ন ও বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসীদের দলের পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রগতি ও গণতন্ত্রের পথে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে। তাই আপনারাও মিথ্যাচার ও সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে সুষ্ঠু রাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন।

 

জে-খার্টিন/বিপি

 

 

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

কলারোয়ায় বিলুপ্তির পথে ইতালি নগরের সুবিখ্যাত টালি শিল্প

Avatar photo

Published

on

দেশজুড়ে ডেস্ক:
সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ না পাওয়া, আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টিতে সরকারের সহযোগিতার অভাব এবং কতিপয় ব্যবসায়ীর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে সাতক্ষীরার কলারোয়ার সুবিখ্যাত টালি শিল্প। এদিকে, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার করতে না পারা ও উৎপাদন খরচ বাড়াসহ নানা সমস্যা রয়েছে। ফলে কলারোয়া উপজেলার মুরারিকাটি ও শ্রীপতিপুর এলাকায় ৪১টি কারখানার মধ্যে সচল আছে মাত্র ১৫টি। বর্তমানে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় চার হাজার শ্রমিকের অবস্থা করুণ। ভালো নেই এখানকার টালি শিল্পের মালিক ও শ্রমিকরা।

কলারোয়া টালি কারখানার মালিক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি ও কলারোয়া ক্লে টাইলসের মালিক গোষ্ট চন্দ্র পাল জানান, পূর্ব পুরুষদের পেশা অনুযায়ী এখানকার পালরা প্রতিমা তৈরি করতেন। আর এই প্রতিমা তৈরি করে মুরারিকাটি ও শ্রীপতিপুর এলাকার পালরা সারা দেশে খ্যাতি অর্জন করেন। শুধু তাই নয়, পালপাড়া বধ্যভূমির কারণে এখানকার ঐতিহ্য রয়েছে। ২০০০ সাল থেকে এখানে টালি নির্মাণ শুরু হয়। ২০০২ সালে ইটালির ব্যবসায়ী রাফাইলো আলদো আসেন বাংলাদেশে। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে নারায়ণগঞ্জে টালি তৈরির কাজ শুরু করেন তিনি। কিন্তু ওই এলাকার তৈরি টালি পছন্দসই না হওয়ায় তিনি তার দেশে ফিরে যান। কিন্তু ওই কোম্পানির ম্যানেজার রুহুল আমিন দেশের বিভিন্ন স্থানে পোড়া মাটির টালি তৈরির জন্য মাটি খুঁজতে থাকেন। পরে কলারোয়ার কুমারপাড়ায় এসে পেয়ে যান যুৎসই মাটি।

গোষ্ঠ চন্দ্র পালি আরো বলেন, এক কন্টেইনারে ১৫ হাজার পিস টালি বহন করা যায়। ইটালিতে একসময় প্রতি মাসে ৩০ কন্টেইনার টালি যেত। বর্তমানে ৫-৬ কন্টেইনার টালি যায়। বর্তমানে মালিক সমিতির সদস্য শ্রীকান্ত পাল, তৈলাজ পাল, মদন পাল, শঙ্কর পাল, সন্তোষ পালসহ ১৫-১৬ জন এবং লালপাল, ময়না পাল, জগবন্ধু পাল, স্বপন পাল, মোসলেম উদ্দীন, পরিতোষ দাসসহ আরো ২৫ থেকে ২৬ জন তাদের কারখানা বন্ধ করেছেন। টালি তৈরির সঙ্গে যুক্তরা জানান, কারার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক রুহুল আমিন কলারোয়া কুমারদের পোড়া মাটির তৈরি টালির সম্ভাবনার পথ দেখান। শুরু হলো টালি তৈরির কাজ। এরপর প্রথমবার পাঁচটি কারখানার উৎপাদিত টালি ইতালিতে রপ্তানি শুরু হয়। এ কারণে এলাকাকে অনেকেই ‘ইতালিনগর’ বলে থাকেন। দু’বছর যেতে না যেতেই এখানকার উৎপাদিত টালি নজর কাড়ে জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীদের। কলারোয়ার মাটি পৌঁছে যায় ইউরোপ-আফ্রিকা-পশ্চিম এশিয়ায়। জাহাজে করে রপ্তানি শুরু হয় কলারোয়ার টালি। বিনিময়ে আসতে থাকে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। চাহিদা সঙ্গে সঙ্গে এখানকার টালি কারখানার সংখ্যাও বাড়ে। এসব কারখানার কাজ পান প্রায় চার হাজার শ্রমিক। ২০১০ সাল পর্যন্ত টালি শিল্প মালিকদের সুদিন ছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ ভালো দামেই বিক্রয় হতো এখানে উৎপাদিত টালি। প্রতিটি টালি ৩০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন উৎপাদকরা। এতে করে প্রতি বছর এ শিল্প থেকে ৩০০ কোটিরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হতো। কিন্তু ২০১০ সালের পর থেকে এ শিল্পে ভাঁটা পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কলারোয়ায় উৎপাদিত প্রতি স্কয়ার ফুট টালির বাজার মূল্য দুই থেকে ১০০ টাকা, রেকট্যাংগুলোর টালি তিন থেকে ৬০ টাকা, স্টেপ টালি দশ থেকে ৩৫ টাকা, বেন টালি ১৫ থেকে ২৫ টাকা, টেরাকোটা টালি ছয় থেকে ৩০ টাকা, লিস্ট টালি তিন থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রি হয়। ১০-১২ ধরনের ফ্যাশনেবল টালি তৈরি হয় এখানে। মেঝে, দেয়াল, ছাদে ব্যবহৃত হয় এসব টালি। দেশি সমঝদার-শৌখিন মানুষদের কাছে কলারোয়ার টালি খুবই পছন্দের। টালি কারখানা মালিক সমিতির সদস্যরা জানান, প্রতি বছর নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয় টালি মৌসুম। ৩১ মে পর্যন্ত চলে উৎপাদন। প্রতি মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩০ বার পন (চুল্লি) জ¦ালানো যায়। প্রতি পনে ছোট আকারের দশ হাজার থেকে ১২ হাজার টালি এবং বড় আকারের আট হাজার থেকে দশ হাজার টালি উৎপাদন করা হয়। এতে করে প্রতি ‘পোনে’ খরচ হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা। ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করার পর তবেই লাভের মুখ দেখা যায়।

টালি কারখানার মালিকরা জানান, এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন প্রায় চার হাজার শ্রমিক। শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।

টালি কারখানা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ ইমাদুল ইসলাম ও সদস্য আবদুর রব মোল্যা জানান, তারাসহ বেশ কয়েকজন এ ব্যবসাটা ধরে রেখেছেন। প্রতি কন্টেইনার টালির উৎপাদন খরচ প্রায় এক লাখ টাকা। ইউরোপের বাজারে যার দাম দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। বছরে প্রায় ৪০০ কন্টেইনার টালি রপ্তানি করে শত শত কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। কিন্তু অসম প্রতিযোগিতা এ শিল্পকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। একদিন এ শিল্পের সুদিন ছিল। আজ দুর্দিন। ব্যবসায়ীরা সুদিন ফিরিয়ে আনতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও নীতিমালা তৈরির দাবি জানান।

Continue Reading

খুলনা

২৩ কেজি ওজনের এক মাছের দাম ৮ লাখ টাকা!

Avatar photo

Published

on

খুলনার রূপসা পাইকারি মাছ বাজারে সাড়ে ২৩ কেজি ওজনের একটি ভোল মাছ বিক্রির জন্য আনা হয়েছে। বিক্রেতা এর দাম হাঁকাচ্ছেন ৮ লাখ টাকার বেশি।

বৃহস্পতিবার সকালে মাছটি বাজারের আড়ত মেসার্স মদিনা ফিশ ট্রেডার্সে তোলা হলে সেটি দেখতে উৎসুক বিভিন্ন বয়সের মানুষ ভিড় জমে। এর আগে মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরের দুবলার চর এলাকায় মাসুম বিল্লাহ নামের এক জেলের জালে ধরা পড়ে মাছটি।

মাছটি খুলনায় নিয়ে এসেছেন মো. রহমত নামের এক ব্যক্তি। তিনি মাসুম বিল্লাহর সহযোগী। মাসুমের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনির কুড়িকাহুনিয়া গ্রামে।

রহমত বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে মাসুম বিল্লাহর জালে মাছটি ধরা পড়ে। পরে মাছটি দুবলার চরে আনা হয়। সেখানেই কেজি প্রতি ৪০ হাজার টাকা দরে ২৩ কেজি ৬৮০ গ্রামের মাছটির এর দাম হয় ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

রহমত আরও বলেন, আরও বেশি দামের আশায় মাছটি বিক্রি না করে খুলনার বাজারে নিয়ে এসেছেন। তবে আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় এখন চট্টগ্রামে পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন।

খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, ভোল মাছ যত বড় হয়, এর দাম তত বেশি হয়। সামুদ্রিক এই মাছের বায়ুথলি বা এয়ার ব্লাডার ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশেষ স্যুপ তৈরিতেও এই মাছ ব্যবহার করা হয়।

Continue Reading

খুলনা

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল প্রতিরোধে পুলিশিং সমাবেশ

Avatar photo

Published

on

ডুমুরিয়া সংবাদদাতা:
খুলনা সাতক্ষীরা ও চুকনগর-যশোর আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার ও তিন চাকার মোটরভ্যান ইজি বাইক ইঞ্জিন চালিত তিন চাকার যান মহাসড়কে চলাচলের প্রতিরোধে পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় চুকনগর খর্নিয়া হাইওয়ে থানা অফিস কার্যালয়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ডুমুরিয়ার খর্নিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ মো. মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও চুকনগর ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এ বি এম শফিকুল ইসলাম। সমাবেশের প্রধান অতিথি সরকারি নির্দেশনা ও আইন মেনে সকলকে মহাসড়কে চলাচলের আহ্বান জানান।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন- খুলনা জেলা ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. রাসেল আহম্মেদ এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, খুলনা বাস মালিক সমিতির লাইন সম্পাদক আ. হাই, বাবুল আক্তার। চুকনগর আঞ্চলিক বাস মালিক সমিতির আহবায়ক আনোরুল ইসলাম, সদস্য’ সচিব বিধান চন্দ্র তরফদার, নিতাই নন্দী, ট্রাক মালিক ও শ্রমিক সমিতির গৌতম ঘোষ, টুটুল, মাহেন্দ্র মালিক সমিতির সভাপতি আলতাপ হোসন, তুহিন, মনিরুল, ইজিবাইক মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের প্রমুখ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদকর্মীবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন খর্নিয়া হাইওয়ে থানার এসআই মলয়েন্দ্র নাথ রায়।

Continue Reading