Connect with us

আন্তর্জাতিক

একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় জাকার্তা হামলা

Published

on

jakarta_attack

অনলাইন ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় সন্ত্রাসী হামলার পর শহরে ভীতি ছড়িয়ে পড়লেও, আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। হামলাকারীরা জাতিসংঘের একটি ভবন এবং শপিং সহ কয়েকটি জায়গায় সাধারণ মানুষের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় এবং গ্রেনেড ছোড়ে। তাদেরকে বাগে আনতে পুলিশকে প্রায় তিন ঘণ্টা লড়াই করতে হয়েছে।
চাকরির সূত্রে গত আড়াই বছর ধরে জাকার্তায় বসবাস করছেন বাংলাদেশের ফজলে এলাহি মাহমুদ। বিবিসির কাছে তিনি হামলার পর শহরের পরিস্থিতি বর্ণনা করছিলেন।
হামলার সময় তিনি ঘটনাস্থলের খুব কাছেই, তার কর্মস্থলে ছিলেন। হামলার পরপরই পুলিশ শহরের প্রধান রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয়। রাস্তাঘাটে লোক চলাচলও কমে যায়।
মি. মাহমুদ বলছেন, এরকম একটি হামলার আশংকা করা হচ্ছিল। তবে ক্রিসমাসের সময় এরকম হামলা হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। সেজন্য প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ক্রিসমাস চলে যাবার পর আশংকাটি হয়তো অনেকটা কমে গিয়েছিল।
এমনিতে জাকার্তায় ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলো খুব কমই সক্রিয় বলে তিনি জানান। স্বায়ত্তশাসিত আচেহ প্রদেশটি শরীয়া আইনে চলে। এছাড়া অন্য এলাকাগুলোয় তেমন একটা প্রভাব দেখা যায় না।
তিনি বলছেন, ২০০৬ সালে এখানে সর্বশেষ হামলা হয়েছিল। এরপর মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশই রয়েছে এখানে।
ফজলে এলাহি মাহমুদ বলছেন, সর্বশেষ নির্বাচনে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলো খুব একটা ভোট পায়নি। ইন্দোনেশিয়ায় সব ধর্মের মানুষেরই বসবাস রয়েছে, এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভালো।
মি. মাহমুদ বলছেন, হামলার ঘটনার পর সব বাসিন্দাই হতবাক হয়েছেন।
তিনি আশংকা করছেন, এর আগে ইন্দোনেশিয়ায় যে স্বাভাবিক এবং মুক্ত পরিবেশ ছিল, এরকম হামলার পরে তা হয়তো পাল্টেও যেতে পারে।
ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক রয়েছে এমন একটি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। ২০০৯ সালের পরে দুটো হোটেলে হামলার পর এই প্রথম জাকার্তায় এ ধরণের কোনো সন্ত্রাসী হামলা হলো। বিবিসি বাংলা।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *