Connect with us

কুড়িগ্রাম

এক স্কুলে দুই প্রধান শিক্ষক

Published

on

181348ss_109936শাহাদত হোসেন, রৌমারী: কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় চরশৌলমারী ইউনিয়নের ফুলকারচর হাই স্কুলে বর্তমানে দুইজন প্রধান শিক্ষক কর্মরত আছেন। আশাদুল ইসলাম বিগত ২০০৪ সালে রৌমারী থানার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রঞ্জিত কুমার বালার মাধ্যমে নিযোগপ্রপ্ত হয়ে কাজ করে আসছেনে। ২০১৫ইং সালের জুলাই নাগাদ বিদ্যালয়টির সকল কার্যক্রম আশাদুল ইসলামের নামেই পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে নতুন সভাপতি মেহের উল্যাহ নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক আশাদুল ইসলামকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেন। কারণ দর্শানো নোটিশের প্রেক্ষিতে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার পরও তাকে আর স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেননি এই নতুন সভাপতি। গোপনে অত্র বিদ্যালযের অফিস সহকারী মোঃ আব্দুর রশিদ ও ফুরকারচর গ্রামের এক বখাটে যুবক মাদকব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান(বর্তমানে সে মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে আছেন) এর সহযোগীতায় বর্তমান সভাপতির ভাতিজা মোঃ নুরুন্নবিকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। উল্যেখ্য যে বিদ্যালয়টি এখন পর্যন্ত এমপিও ভুক্ত হয়নি। নুরুন্নবীর প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রাপ্তির জন্য নিবন্ধন পাশ সনদ ও অভিজ্ঞতা নাই। বিদ্যালয়টি পাঠদানের অনুমতি ২০০৪ইং সালে। একাডেমিক স্বিকৃতি ২০১১ইং সালের জানুয়ারী মাস হতে প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম আগের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমেই সফলভাবে সম্পাদিত হয়ে আসছিলো। গতকাল বৃহপ্রতিবার সরে জমিনে বিদ্যালয়টি গিয়ে জানা যায় নুরন্নবিকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে গত দুই বছর আগে নজরুল ইসলাম নামে এক শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ও অন্যান্য সকল প্রধান শিক্ষক আশাদুল ইসলামের সাথেই নিয়োগ দেওয়া হয়। যার কপি সকল শিক্ষা অফিসেই দেওয়া আছে। শিক্ষক প্যাটার্ন জমা থাকার পরও এহেন কার্যক্রম কিভাবে হলো। এলাকাবাসী আবুল হাশেম,প্রভাষক আঃ গফুর, গোলজার হোসেন বলেন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি ফুলকারচরের লোকজন জানেনা। বিষয়টি জরুরীভাবে সমাধান না হলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার আশংকা রয়েছে।
আগের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশাদুল ইসলাম বলেন আমাকে কোন প্রকার বহিস্কার করা হয়নি। আমি চাকুরী হতে অব্যাহুতি দেইনি এখনো আইনানুযাই আমি এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক।
বর্তমান নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবীর কাছে নিয়োগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন দূরনীতি কারণে আগে প্রধান শিক্ষক কে বহিস্কার করে বর্তমান সভাপতি আমাকে নিয়োগ দিয়েছে তাই আমি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি।
বর্তমান নির্বাচিত সভাপতি মেহের উল্যাহ অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন দূর্নীতির কারণে আগে প্রধান শিক্ষক কে বহিস্কার করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রেজাউল কবীর কলেন বিদ্যালয় পরিচানা কমিটি নিয়োগের বিষয় জানে এটি আমার বিষয় না আমার জানামতে আগে প্রধান শিক্ষকে দীর্ঘদিন স্কুলে উপস্থিত না থাকার কারণে তাকে বহিস্কার করে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শঙ্কর কুমার বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই আমার কাছে অভিযোগ আসলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে নিয়োগের বিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয় কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার বলেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আমাকে বলেছে ফুলকারচর হাইস্কুলে নিয়োগপ্রাপ্ত কোন শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পর অন্যান্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *