শাহাদত হোসেন, রৌমারী: পুঁথি শিল্পী রিয়াজুল হক পুথি পাঠ ও বর্তমান বই বিক্রি করে কোন মতে সংসার চালান। যেদিন বই বিক্রি হয় না, সেদিন প্রায় উপস থাকেন। টপটপ করে চোখের পানি ফেলে কথা গুলো বলেন রিয়াজুল হক, পিতা ওসমান আলী, মাতা সামর্থবানু। বাড়ি রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের টালুয়ার চর। স্ত্রী জরিনা খাতুন প্যারালাইসেস রোগে আক্রান্ত। তাদের ঘরে রয়েছে এক ছেলে ও তিন মেয়ে। বসত ভিটা ছাড়া আর কিছু নেই। সংসারের অভাবে বড় ছেলে ও মেয়েকে পড়াশোনা করাতে না পারলেও অতি কষ্টের মধ্যে সব ছোট মেয়ে সাজেদা খাতুন বর্তমানে রৌমারী ডিগ্রী কলেজে ¯œাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। পুথি পাঠ বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের অন্যতম এক উপাদান। এক সময় গ্রামের বাড়ি উঠানে পূর্নিমা রাতে হারিকেন বা কুপি জ্বালিয়ে পুথি পাঠের আসর বসত। এই আসরে অংশ নিতেন গ্রামের শিশু কিশোর, বয়স্ক পুরুষ ও মহিলারা। নানা ধর্মীয় কাহিনী, রাজা বাদশার গল্পই ছিল সেই সব পুথির বিষয়বস্তু। বর্তমানে আধুনিকতার ছোয়ায় সেই পুথি পাঠ ধীরে ধীরে আমাদের গ্রাম অঞ্চল থেকেও হারিয়ে যাচ্ছে। তাই রৌমারী উপজেলা শহরে নতুন করে পুথি পাঠ করা শুরু করেছে একজন পুথি হকার রিয়াজিুল হক। উপজেলা শহরে প্রধান প্রধান মোড় যেমন, ভোলা মোড়, থানা মোড়, উপজেলা মোড়, উপজেলা চত্তর এবং ব্যস্ত সড়কের পার্শ্বে পুথি পাঠ করে নিজে আনন্দ পান এবং অন্যকে আনন্দ দেন,তার কাধে জুলির মধ্যে থাকে বিভিন্ন রকমের বই লোক জমায়ে বই বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি।