Connecting You with the Truth

হরতাল-অবরোধের প্রভাব, পর্যটকশূন্য ‘হিমালয় কন্যা’ তেঁতুলিয়া

tetulia picপঞ্চগড় প্রতিনিধি:

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধ-হরতালে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে দেশের উত্তরের সর্বশেষ জেলা পঞ্চগড়ের ‘হিমালয় কন্যা’ খ্যাত তেঁতুলিয়া উপজেলা। শীত মৌসুমের মেঘমুক্ত দিনে তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো থেকে উত্তর দিকে তাকালেই হিমালয় গিরিমালার নজরকাড়া দৃশ্য চোখে পড়ে। সকালের ঝিকিমিকি রোদ হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টে পড়লে দুর্লভ এ দৃশ্য পর্যটকদের মন ছুঁয়ে যায়।
দেশের সর্ব উত্তরে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট, ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সম্ভাবনাময় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর, সমতল ভূমির সুদীর্ঘ চা-বাগান আর তেঁতুলিয়ার বুক চিরে বয়ে যাওয়া মহানন্দা নদীতে শ্রমিকদের নুড়ি সংগ্রহের দৃশ্য মোহিত করে পর্যটকদের। পর্যটকদের ভিড়ে সরগরম থাকা মহানন্দা নদীর কোলঘেঁষা উচু টিলায় অবস্থিত তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো এখন নিস্তব্ধ। এর ফলে এ এলাকায় গড়ে ওঠা পর্যটকনির্ভর দোকানগুলোও বন্ধ হতে বসেছে। তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো সংলগ্ন দোকান ফরিদ স্টোরের মালিক মোবারক হোসেন জানান, “হরতাল-অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে বেচা-বিক্রি একেবারেই নেই। বাইরে থেকে লোকজন না এলে কার কাছে বিক্রি করব? এভাবে আর কতদিন? আমরা আর সংসার চালাতে পারছি না।”
পিকনিক কর্নারের কেয়ারটেকার সফিকুল ইসলাম জানান, জানুয়ারি-ফেব্র“য়ারি এ দু’মাস পর্যটকদের ভিড় বেশি হয়। এ সময় প্রতিদিন এখানে প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি গাড়ি আসত। অথচ টানা অবরোধ-হরতালে পর্যটক কমে যাওয়ায় এই পিকনিক কর্নার থেকে কোনো আয় হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শাহিন জানান, টানা অবরোধ-হরতালে পর্যটক শূন্যতার কারণে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, রিকশা-ভ্যান চালক ও আবাসিক হোটেল মালিকেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের আসা-যাওয়া অব্যাহত থাকলে বিশ্বের মানচিত্রে তেঁতুলিয়া একটি অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিতি পাবে।

Comments
Loading...