Connect with us

রাজনীতি

অদূর ভবিষ্যতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ প্রথম স্থান দখল করবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

Published

on

2015-05-05_6_216937 (1)

নিজস্ব প্রতিনিধি:  বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, অদূর ভবিষ্যতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ প্রথম স্থান দখল করবে।  মন্ত্রী আজ রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং জার্মান কোম্পানি এসএপি ট্রেনিং একাডেমী আয়োজিত ‘আরএমজি টেক্সটাইল এন্ড ট্রেনিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জার্মানীর সিসটেম এপ্লিকেশন প্রোডাক্ট(এসএপি) বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও সফ্টওয়্যার খাতে অবদান রাখার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানি কারক দেশ। প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীন। চীন তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আগ্রহ কমিয়েছে। তৈরি পোশাক রপ্তানি কারকগণ বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে আগামী ২০২১ সালে শুধু তৈরী পোষাক রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে।

মন্ত্রী বলেন, জার্মানী বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার। একক দেশ হিসেবে জার্মানী বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরী পোশাক রপ্তানি বাজার। বাংলাদেশ জার্মানীতে প্রতি বছর প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরী পোশাক রপ্তানি করে থাকে। একক দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার এক নম্বরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতি বছর প্রায় ৫.৪ এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে প্রায় সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে। ভারতের নোবেল বিজয়ী অমর্ত সেনের মতে সামাজিক অনেক ক্ষেত্রে ভারতের থেকেও বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি এ বছর ৩২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে, গত বছর রপ্তানি অর্জিত হয়েছে ৩০.১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, রেমিটেন্স ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি এবং ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট পজেটিভ। বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল, তারাই আজ বলছেন, বাংলাদেশ মিরাকল। পৃথিবীর প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক গবেষনা প্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চিত্র উঠে এসেছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুন্যহাতে যাত্র শুরু করেছিলেন। সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল, আজ দেশে প্রায় ষোল কোটি মানুষ, খাদ্যের কোন অভাব নেই। বাংলাদেশ চাউল রপ্তানি শুরু করেছে। নেপালের দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাউল প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. থোমাস প্রিঞ্জ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *