Connect with us

জাতীয়

আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা: ডিএমপি কমিশনার

Published

on

dmpবাংলাদেশেরপত্র ডেস্ক: ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বলেছেন, আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে রাজধানী ঢাকায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও, তিন দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতে পারবে না দর্শনার্থীরা এমনকি নিয়ন্ত্রণ হবে আশপাশের সড়কগুলোও।

আগামী ২২ অক্টোবর এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন দলের জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুদিনব্যাপী কাউন্সিল অধিবেশনও হবে এখানেই। আর তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত। আজ বুধবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সম্মেলনস্থল পরিদর্শন করেন ডিএমপি কমিশনার। এসময় ডিএমপি’র উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বিভিন্ন প্রবেশ গেট এবং প্রধান সড়কের সংযোগস্থলে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) স্থাপন করা হয়েছে। ডিএমপি’র কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এসব সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সম্মেলনস্থল ও আশেপাশের এলাকা মনিটরিং করা হবে।

ডিএমপি কমিশনার জানান, আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে মঞ্চ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তার পুরো দায়িত্বভার গ্রহণ করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সম্মেলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা ওই এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এ সময় সোয়াট, র্যা ব, গোয়েন্দা পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমন্বয় করা হবে।

আছাদুজ্জামান মিয়া আরো বলেন, ভিহিকেল মিরর সার্চ করে গাড়ি সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করবে। উদ্যানের শিখা চিরন্তনের গেট দিয়ে ভিআইপিরা প্রবেশ করবেন। প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী শিখা চিরন্তনের গেট দিয়ে প্রবেশ করবে। মূল প্যান্ডেল ও মঞ্চের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে এসএসএফ। এ কাউন্সিলকে ঘিরে কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

যান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে আগামী শুক্রবার থেকে রবিবার ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ওই সময়কালে সম্মেলনে আগত অতিথি ও আমন্ত্রিতদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

সম্মেলনে কাউন্সিলর ও অতিথিদের নির্বিঘ্নে আসা-যাওয়ার জন্য সম্মেলনের দুই দিন শনি ও রবিবার ২২ ও ২৩ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগসহ আশেপাশের বেশ কিছু সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এজন্য বেশ কিছু সড়কে ডাইভারশন করা হবে । তিনি বলেন, ডাইভারশন করার কথা মাইক দিয়ে নাগরিকদের জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সম্মেলনের ডেলিগেটস, কাউন্সিলর ও আমন্ত্রিতদের চলাচলে যাতে কোন বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য আগামী শনিবার থেকে সম্মেলন এলাকার আশপাশে ভবঘুরে, হকার ও সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। শুধুমাত্র আমন্ত্রিত অতিথি ও দলের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরাই সম্মেলন এলাকায় প্রবেশের অনুমতি পাবেন বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও, ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও জানানো হয়েছে, সম্মেলনের দুই দিন ২২-২৩ অক্টোবর সকাল আটটা থেকে বিজয় সরণি হয়ে ভিআইপি রোডের গাড়িগুলো রূপসী বাংলা-শাহবাগ-টিএসসি হয়ে ডানে মোড় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না পৌঁছানো পর্যন্ত ভিআইপি রোডে অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করবে না। উত্তরা হয়ে মহাখালী উড়ালসেতুতে চলাচলকারী গাড়িগুলো এই উড়ালসেতুর নিচ দিয়ে মহাখালী টার্মিনাল-মগবাজার-কাকরাইল চার্চ-রাজমণি ক্রসিং-নাইটিঙ্গেল-ইউবিএল-জিরোপয়েন্ট-আবদুল গণি রোড-হাইকোর্ট ক্রসিং-দোয়েল চত্বর দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করবে।

এদিকে মাওয়া থেকে আসা গাড়িগুলো সদরঘাট-বাবুবাজার-গুলিস্তান-জিরো পয়েন্ট-আবদুল গণি রোড-পুরোনো হাইকোর্ট ক্রসিং-দোয়েল চত্বর-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে গন্তব্যস্থলে যাবে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিভাগ, সিলেট বিভাগ অথবা যাত্রাবাড়ী ও কাঁচপুর থেকে আসা গাড়িগুলো মেয়র হানিফ উড়ালসেতু-চানখাঁরপুল-দোয়েল চত্বর-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে গন্তব্যস্থলে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করার পর ভিআইপি রোড (হেয়ার রোড-রূপসী বাংলা-সোনারগাঁও-বিজয় সরণি) স্বাভাবিক থাকবে। প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনস্থল ত্যাগ করার সম্ভাব্য দুই ঘণ্টা আগে মৎস্য ভবন, কাকরাইল চার্চ থেকে বিজয় সরণি পর্যন্ত সড়কে ডাইভারশন চলবে। এ সময় কদম ফোয়ারা দিয়ে গাড়িগুলো ইউবিএল-নাইটিঙ্গেল-কাকরাইল চার্চ-মগবাজার দিয়ে মহাখালী যেতে পারবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গাবতলী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি থেকে আসা গাড়িগুলো মিরপুর রোড দিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ-রাসেল স্কয়ার-সায়েন্স ল্যাব ক্রসিং-নিউমার্কেট ক্রসিং-নীলক্ষেত ক্রসিং-আজিমপুর ক্রসিং-পলাশী ক্রসিং দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করবে।

২২ ও ২৩ অক্টোবর সকাল সাতটা থেকে ডাইভারশন শুরু হবে। এ জন্য মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ-ফার্মগেট অভিমুখে কোনো গাড়ি আসবে না এবং রাসেল স্কয়ার-পান্থপথ অভিমুখে কোনো গাড়ি যাবে না। সব গাড়ি নিউমার্কেট-সায়েন্স ল্যাবরেটরি-নিউমার্কেট-আজিমপুর-পলাশী-জগন্নাথ হল ক্রসিং হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পার্কিংয়ে প্রবেশ করবে অথবা নিউমার্কেট-নীলক্ষেত-ফুলার রোড দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করবে।

কাঁটাবন থেকে কোনো গাড়ি শাহবাগের দিকে আসবে না। কাঁটাবন থেকে ডানে মোড় নিয়ে নীলক্ষেত ক্রসিং হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করবে। টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর ও দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি কোনো গাড়ি প্রবেশ করবে না। শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন এবং মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ অভিমুখে কোনো গাড়ি প্রবেশ করবে না।

হাইকোর্ট থেকে দোয়েল চত্বরে গাড়িগুলো প্রবেশ করতে পারবে। তবে দোয়েল চত্বর থেকে হাইকোর্ট ক্রসিংয়ে কোনো গাড়ি যাবে না। অন্যদিকে ইউবিএল চত্বর থেকে কোনো গাড়ি কদম ফোয়ারার দিকে আসবে না।

অন্যদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে রাস্তা উভয় দিকে বন্ধ থাকবে অর্থাৎ কদম ফোয়ারা থেকে মৎস্য ভবন—দুই দিকে কোনো গাড়ি আসা-যাওয়া করবে না। কাকরাইল চার্চ থেকে কাকরাইল মসজিদ অভিমুখে কোনো গাড়ি আসবে না। এ ছাড়া কার্পেট গলি, পরিবাগ গ্যাপ, শিল্পকলা একাডেমির গ্যাপ, মিন্টো রোড ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব মোড় বন্ধ থাকবে এবং এসব স্থান থেকে ভিআইপি রোডে কোনো গাড়ি প্রবেশ করবে না।

উল্লেখ্য, আগামী শনি ও রবিবার ২২ ও ২৩ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *