Connect with us

জাতীয়

আগামী ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন : বাজেট ১০০ কোটি টাকা

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার :  আগামী ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মূলত ২৫ জুলাই থেকে ভোটার হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ইস্যুতে এ নির্বাচন এগিয়ে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রায় তিন শতাধিক পৌরসভার এই নির্বাচনে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে একশ কোটি টাকা। যদিও ২০১১ সালের জানুয়ারিতে পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল ৩৬ কোটি টাকা।
নির্বাচন কমিশনার জানায়, আগামী ২৫ জুলাই থেকে ভোটারের তথ্যসংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আর ৩১ জানুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের আইনি বাধ্যবাকতা রয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকার পর নির্বাচন করতে হলে মার্চ পেরিয়ে যাবে। আইন অনুযায়ী বেশির ভাগ পৌরসভা মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। ফলে ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজন ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
ইসি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে পৌরসভা নির্বাচনী সময়ের কাউন-ডাউন শুরু হবে। ফেব্রুয়ারি-মধ্য মার্চের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। অক্টোবর-নভেম্বরের শুরুতে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে। আর ডিসেম্বরের যে কোনো সময়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
বর্তমানে দেশে ৩১৯টি পৌরসভা রয়েছে। সর্বশেষ ২০১১ সালে এ টি এম শামসুল হুদার নির্বাচন কমিশন ২৮৫টি পৌরসভা নির্বাচন আয়োজন করে। ওই বছরের ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে অধিকাংশ পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১২ জানুয়ারি ৭৭টি, ১৩ জানুয়ারি ৪৭টি, ১৭ জানুয়ারি ৪৫টি এবং ১৮ জানুয়ারি ৩৫টি পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হয়। বাকি পৌরসভার নির্বাচন পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকারের পৌরসভার মেয়াদ ৫ বছর।
পৌরসভা আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৩ মাসের মধ্যে পৌরসভায় নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের অধীনে পৌরসভার পর ইউনিয়ন পরিষদের ছাড়া আর কোনো বড় ধরনের নির্বাচন বকেয়া নেই। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশনের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হবে। এর আগে অবশ্য পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়াদোত্তীর্ণ হবে।
এ দিকে, প্রভাবশালীদের দাপটে আটকে আছে ২৫ পৌরসভার নির্বাচন। প্রায় ১৫ বছর যাবত্ পাবনা জেলার বেড়া, ঢাকার দোহার, যশোরের ঝিকরগাছা, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর, কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার, পঞ্চগড়ের বোদা, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ, বগুড়ার সোনাতলা, কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
এ ছাড়া, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার প্রায় দুই বছর অতিবাহিত হলেও নির্বাচন হচ্ছে না সিলেটের গোলাপগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, শরীয়তপুর, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া ও গাবতলী, গাজীপুরের শ্রীপুর, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড, হাটহাজারী, রাজশাহীর নওহাটা, বাঘা ও পুঠিয়া, নরসিংদীর শিবপুর, দিনাজপুরের বিরল, রংপুরের পীরগঞ্জ পৌরসভার।
সংশ্লিষ্ট পৌরসভার প্রভাবশালীরা কারণে নানা কৌশলে এসব পৌরসভার নির্বাচন আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না হওয়ায় দিন দিন মানুষের মধ্যে হতাশা আর ক্ষোভ বাড়ছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *