Connect with us

জাতীয়

আর্মেনিয়ায় গণহত্যা : নিহতদের স্মরণে বিশ্ব নেতাদের নীরবতা পালন

Published

on

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আর্মেনীয়দের ওপর অটোম্যান তুর্কীদের গণহত্যার শতবর্ষ উপলক্ষে শুক্রবার দেশটির রাজধানীতে কয়েক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ বিশ্ব নেতারা অংশ নেন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চালাকালে ১৯১৫ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে অটোম্যানদের হাতে নিহত প্রায় ১৫ লাখ আর্মেনীয়কে স্মরণ করতে দেশটির প্রেসিডেন্ট সার্জ সারকিসিয়ান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার লোক শোভাযাত্রা সহকারে রাজধানী ইয়েরেভানের উপকণ্ঠে একাটি পাহাড়ের চূড়ায় স্থাপিত একটি স্মৃতিস্তম্ভে যান। তারা ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এদিকে ওই হত্যাকান্ডকে ‘গণহত্যা’ বলে উল্লেখ করায় এর তীব্র বিরোধিতা করেছে তুরস্ক। আর এ নিয়ে তুরস্ক ও আর্মেনিয়ার মধ্যে তিক্ত সম্পর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

তুরস্কের দাবি, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উভয় পক্ষের বহু লোক নিহত হয়েছে। শুক্রবার তুরস্কেও এক স্মরণসভা হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু বলেছেন, তার দেশ আর্মেনীয়দের ‘কষ্ট ভাগ’ করে নেবে। তবে ওই হত্যাকান্ড গণহত্যা নয় এমন দাবির পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার আর্মেনীয় গির্জা জানায়, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ১৫ লাখ আর্মেনীয় নিহত হয়। স্মরণানুষ্ঠানের পর সারাবিশ্বে আর্মেনীয় গির্জায় একযোগে ঘন্টা বাজানো হয়।

বৃহস্পতিবার জার্মান প্রেসিডেন্ট জোয়াচিম গাউকও এ হত্যাকান্ডকে গণহত্যা বলেছেন। চলতি মাসের শুরুতে পোপ ফ্রান্সিস গণহত্যা শব্দটি ব্যবহার এবং সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় এক প্রার্থনা সভায় ওই হত্যাকান্ডের কথা উল্লেখ করার পর ভ্যাটিকানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় তুরস্ক।

ফ্রান্স ওই হত্যাকান্ডকে গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে কাজ করছে। আর দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ গণহত্যা অস্বীকারকারীদের শাস্তি দিতে আইন করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এই বিষয় ফ্রান্স-তুরস্ক সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *