দেশজুড়ে
আশুলিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আশুলিয়া প্রতিনিধি:
আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউপির ৪০নং পাড়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ নয় জনের নামে বিজ্ঞ চীফ জুডিশ্যাল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি সিআর মামলা নং-২৬ দায়ের করেছে প্রতিপক্ষরা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১২/০১/২০১৫ইং তারিখে দুপুর পৌনে ২টার সময় ৪০নং পাড়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ছোট পাড়াগ্রাম এলাকার মৃত রহা বেপারীর ছেলে শিমুল পারভেজ নজরুল (৩৩) সহ তার ভাই রফিকুল ইসলাম (৩৭), একই এলাকার মধু দাসের ছেলে চন্দন দাস (৩৩), রফিকুল ইসলামের স্ত্রী সাবিনা আক্তার (২৮), রফিকুল ইসলামের মা রোকেয়া (৫০), শংকর রায় (৪০), সোহেল (২৫), মোতালেব (৩৫) ও জমত আলীকে সাথে নিয়ে ওই এলাকার শ্রী জগদীশ মনি দাসের বাড়িতে গিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় শ্রী জগদীশ মনি দাসের স্ত্রী দূরবর্তী মনিদাস (৩৫) বিজ্ঞ চীফ জুডিশ্যাল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি সিআর মামলা নং-২৬, তারিখ: ১৯-০১-১৫ইং তারিখে দায়ের করেন।
এছাড়া ওই মামলায় স্বাক্ষী করা হয়েছে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুর রশিদ, গ্রাম পুলিশ মাদাই, ওই এলাকার শুকুর আলী, গৌরাঙ্গ মনিদাস, ক্ষিতিশ চন্দ্র মনি দাস, নিতাই মনি দাস, নিমাই মনি দাস ও মহি বেপারীকে।
মামলার ৬নং সাক্ষী শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুর রশিদ জানান, এলাকায় চাঁদাবাজি হয়েছে এরকম কিছু তিনি শুনেন নি এবং জানেনও না। আর মামলা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। তবে চক্রান্ত করে তাকে সাক্ষী করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। মামলার ৫নং সাক্ষী মহি বেপারী জানান, সেও এ মামলা সম্পর্কে কিছু জানেন না। এছাড়া ৭নং সাক্ষী শুকুর আলী, ৮নং সাক্ষী মাদাই চকিদারও জানান এ মামলা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। মামলাটিতে সোহেল নামের একজনকে ৭নং আসামি করা হয়েছে। সে ঢাকার ধামরাই থানায় অবস্থিত আফাজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক।
এ ব্যাপারে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ জানান, চাঁদাবাজি হয়েছে এমন কোন ঘটনা শুনি নি। তবে এটা সাজানো একটি মামলা হতে পারে বলে মনে হচ্ছে।