দেশজুড়ে
ইজি মেকানিক্যাল ব্রেক তৈরী করেছেন নওগাঁর ইঞ্জিনিয়ার আ. বারী
কাস্ট আয়রন দিয়ে তৈরী করা হয়েছে ব্রেকের বডি। এর মধ্যে ছয় ইঞ্চি সাইজের ব্রেক শো ব্যবহার করা হয়েছে। যেটা বাজারের সহজেই পাওয়া যায়। ইজিবাইকে (ব্যাটারি চালিত চার্জার) এই ব্রেক ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এটা প্রায় তিন বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। ইজি ম্যাকানিক্যাল ব্রেক চেপে রিক্সা ইচ্ছেমত নিয়ন্ত্রন করা যায়। সদর উপজেলার আবাদপুর গ্রামের চার্জার রিক্সা চালক হারুনুর রশিদ জানান, প্রায় ছয় মাস থেকে চার্জার রিক্সা ব্যবহার করছেন। পুলির উপর বেল্টের ব্রেক হওয়ায় অনেক সময় ব্রেক কাজ করেনা। রিক্সা পিছলে চলে যায়। এমনকি সামনে রিক্সা-ভ্যানে অনেক সময় ধাক্কা লেগে যায়। টাকা কম থাকায় ভাল মানের ব্রেক ব্যবহার করতে পারছেন না। শহরের মুক্তির মোড় চার্জার রিক্সা ও ভ্যান তৈরীর কারিগর মিলন সাইকেল স্টরের মালিক জানান, পুলির উপর বেল্ট এবং ফিতার ব্রেক স্বল্প দামে পাওয়া যায়। চালকরা স্বল্প দামে যে ব্রেক পাওয়ায় যায় সেটাই ব্যবহার করেন। বেশি দামের এবং ভাল মানের ব্রেক ব্যবহার করতে চান না। তবে ভাল মানের ব্রেক দিয়ে রিক্সা তৈরী করলে খরচ একটু বেশি হবে। ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারী জানান, ব্যাটারি চালিত রিক্সা দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এ ব্রেক তৈরী করা হয়েছে। সাধারন কোন চার্জার বা ভ্যানে ম্যাকানিক্যাল ব্রেক লাগানো থাকে না। পুলির উপর যে টায়ার বা বেল্ট লাগিয়ে ব্রেক দেয়া থাকে সেটা ঠিক মত কাজে আসে না। নওগাঁ হালিমা মটরস, জয়পুরহাট জেলা এবং রাজশাহী জেলার রাজশাহী নাহার অটো বাইক এ ম্যাকানিক্যাল ব্রেক পাইকারী নিয়ে যান। গত তিন বছরে প্রায় ২শ’পিচ এ ম্যাকানিক্যাল ব্রেক বিক্রি হয়েছে। তবে দাম একটু বেশি হওয়ায় চালকরা তেমন ব্যবহার করতে ইচ্ছুক না। রিক্সা-ভ্যানে ভাল মানের ব্রেক লাগানো কোন বাধ্যবাধকতা না থাকায় এ ব্রেকগুলো কম ব্যবহার করে চালকরা। সাধারন পুলির উপর টায়ার বা বেল্ট এ ব্রেক তৈরীতে ৫শ/৬শ টাকা খরচ হয়। সেখানে ম্যাকানিক্যাল ব্রেকের দাম ১ হাজার ৪শ’ থেকে ১ হাজার ৫শ’ টাকা। তিনি আরো জানান, অসচেতনতার কারনে দূর্ঘটনা ঘটে। খুব গতিতে চার্জার চালকরা রিক্সা চালান। রিক্সা গতিতে থাকায় বেল্ট ব্রেক তেমন কাজ করে না। যদি চার্জার কারিগর এবং চালকরা সচেতন হয় তাহলে ভাল মানের ব্রেক ব্যবহার করার দূর্ঘটনা ঘটা থেকে রক্ষা পাবে। যাত্রীরাও নিরাপদে রিক্সায় যেতে পারবে।