খেলাধুলা
একটু সাহায্য করা উচিত: সোহাগ গাজী
আটকেছিলেন অবৈধ বোলিং একশনের ফাঁদে। সেটা শুধরিয়েছেন অনেক আগেই। কিন্তু দলে আর ফেরা হয়নি সোহাগ গাজীর। তাই নিজের জায়গা ফিরে পাওয়ার আকুতিই ঝরে পড়লো তার কণ্ঠ থেকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনিল নারিন কিংবা পাকিস্তানের সাঈদ আজমল। প্রত্যেকেই গাজীর মতোন নিজেদের বোলিং একশন শুধরিয়ে জাতীয় দলে ফিরেছেন সঙ্গে সঙ্গেই। শুধু ফেরা হয়নি পটুয়াখালীর এই স্পিনারের। ওদিকে, আগামী ১৭ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া পাকিস্তান সিরিজে দলের হয়ে নামছেন আজমল, যেখানে দলে জায়গায় হয়নি সোহাগের। যে ক্রিকেটার ছিলেন দলের নিয়মিত সদস্য, তাকে একরকম ছুঁড়ে ফেলাটা স্বয়ং সেই ক্রিকেটারকেই অবাক করেছে। এ নিয়ে দেশের একটি ইংরেজি পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমি সবকিছুইতো ঠিকঠাক মতো করেছি, কঠোর পরিশ্রম করে বোলিং একশন ঠিক করেছি। কিন্তু আমি জানিনা বোর্ড(বিসিবি) এটাকে কিভাবে নিয়েছে। আমি এখন নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে যাচ্ছি। আমি মনে করি আমাকে আমার পূর্বের জায়গাটা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।’ সোহাগ গাজী বলেন, ‘আমি জানতাম, এটা সহজ হবে না। কিন্তু আমিতো কাজ করে যাচ্ছি। ক্রিকেট বোর্ড যদি মনে করে, আমাকে আরো একটু সাহায্য করা উচিত, তাহলে অবশ্যই আমি আরো ভালো করবো।’ ২০১২ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক ঘটে সোহাগ গাজীর। মোট ১০টি টেস্ট খেলে তিনি ৩৮টি উইকেট নিয়েছেন। একই বছরে ওয়ানডেতে অভিষেক করেন এবং ২০ ম্যাচে তুলে নেন ২২টি উইকেট। সোহাগ গাজীর শুরুটা ছিল অসাধারণ। কিন্তু অবৈধ বোলিং একশনের হঠাৎ ছোবল তাকে সরিয়ে নিয়ে যায় বেশ খানিকটা দূরে। কিন্তু আগে অথবা পরে, দলে ফিরতে বদ্ধপরিকর তিনি।