Connect with us

জাতীয়

এক লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত! বন্ধ হবে ৪৮টি ক্যাম্পাস

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের ১২ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮টি ক্যা¤পাসকে (শাখা) অননুমোদিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি। এসব শাখায় ভর্তি হওয়া একলাখেরও বেশি শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েছেন। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকায় পড়েছেন অভিভাবকরাও। তাদের বক্তব্য, পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের ঠিকানা দেখেই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় সন্তানদের ভর্তি করেছেন। কোনটি অনুমোদিত আর কোনটি অননুমোদিত তা যাচাইয়ের কোন মাধ্যম ও সুযোগ তারা পাননি। তাদের প্রশ্ন-সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে কোন অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলে এর দায় কে নেবে ?
ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, ১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক অননুমোদিত শাখা রয়েছে। তবে চলতি সপ্তাহে মাত্র ৪৮টি অননুমোদিত শাখার ঠিকানা প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসব ক্যা¤পাসে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সতর্ক করে দিয়েছে ইউজিসি। সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এসব শাখা চলছে। ইতোমধ্যে এসব অননুমোদিত শাখায় পড়ে বহু শিক্ষার্থী ডিগ্রীও অর্জন করেছেন। অথচ আগে এসব শাখার ঠিকানা প্রকাশ করেনি ইউজিসি। চলতি সপ্তাহে এসব ক্যা¤পাসের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করায় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন সকলেই। ইউজিসির সতর্ক করা তালিকায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল- দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইবাইস ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, আমেরিকা-বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও কুইন্স ইউনিভার্সিটি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সঠিক তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। তবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে অধ্যয়নরত ও পাস করা শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে সতর্ক করিনি। সতর্ক করা হয়েছে তাদের ৪৮টি ক্যা¤পাসের ব্যাপারে। আর এই ক্যা¤পাসগুলো আগে থেকেই কালো তালিকাভুক্ত ছিল। এসব ক্যা¤পাস বন্ধ হয়ে গেলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বৈধ ক্যা¤পাসে স্থানান্তর করা হবে। এদিকে জানা গেছে, ইউজিসি উচ্চ আদালতের আপিল নি®পত্তি না হওয়ার দোহাই দিয়ে প্রাইম ইউনিভার্সিটির মালিকদের দুটি পৃথক গ্র“পের ঠিকানাই বৈধ হিসাবে প্রকাশ করেছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, আদালতের রায়ে একটি গ্র“প বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার অনুমতি পেলে অন্য গ্র“পের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত কী হবে ? এছাড়া দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ইউজিসি বলেছে, “দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর অসংখ্য অননুমোদিত ক্যা¤পাস রয়েছে। যা বন্ধের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে নিয়ে এক সদস্যবিশিষ্ট বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল। তাদের প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। সেটি এখনও প্রক্রিয়াধীন।” তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দারুল ইহসানের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের সুপারিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ে আছে। এখনও এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ার পেছনে সংশ্লিষ্টরা মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *