Connect with us

আন্তর্জাতিক

ক্যামেরন সরকারি বাসভবন ছাড়লেও থেকে যাচ্ছে তার বিড়াল

Published

on

larry_the_catসরকারি কর্মকর্তারা বলছেন ল্যারি সরকারি কর্মচারী- তাই ডাউনিং স্ট্রিটে সরকারি কাজেই বহাল থাকছে সে।

নলাইন ডেস্ক: ছয় বছর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার পর ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করে ক্ষমতা তুলে দিচ্ছেন তার মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকা টেরেসা মে-র হাতে।
বাকিংহাম প্রাসাদে গিয়ে ব্রিটেনের রানির হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেবার মাধ্যমে তার প্রধানমন্ত্রীত্বের অবসান যেমন ঘটছে তেমনি এই সঙ্গে সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিট থেকে সপরিবারে বিদায় নিচ্ছেন ডেভিড ক্যামেরন।
ছয় বছর ৬২ দিন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে কাটানোর পর সেই বাড়ি থেকে তার বিদায়ের মূহুর্ত নিয়ে ব্রিটেনের পত্রপত্রিকায় গত কয়েকদিন ধরে হালকা মেজাজের নানা খবর ছাপা হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার ডেভিড ক্যামেরনের বাসভবনের বাইরে পৌঁছে গেছে তার ঘরকন্নার জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য নীল রঙের ভ্যান। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা হয়েছে তার ও তার পরিবারের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিতে ওই ভ্যানে করে এসেছে ৩৩০টি কার্ডবোর্ডের প্যাকিং বাক্স।
ডেভিড ক্যামেরন এই ছয় বছরের ওপর বাস করছিলেন ১১ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে। স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে ডেভিড ক্যামেরন এখন কোন্‌ বাসায় থাকবেন তা নিয়েও চলছে নানা জল্পনা। কারণ লন্ডনে তাঁর নিজের বাসভবন তিনি দীর্ঘ মেয়াদে ভাড়া দিয়ে দিয়েছিলেন।
তার পদত্যাগের ঘটনা যেহেতু ঘটল অপ্রত্যাশিতভাবে তাই তার লন্ডনের বাসভবনে তিনি এখনই গিয়ে উঠতে পারছেন না। আর নিয়ম অনুযায়ী মিঃ ক্যামেরনকে তার সরকারি বাসভবন খালি করে দিতে হবে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে।
প্রসঙ্গত আমেরিকায় নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য সরকারি বাসভবন খালি করে দেবার জন্যবিদায়ী প্রেসিডেন্ট সময় পান দু মাসের বেশি। শহরতলীতে মিঃ ক্যামেরনের দ্বিতীয় যে বাসভবন আছে সেটি লন্ডন থেকে প্রায় ৭০ মাইল বাইরেহওয়ায় ছেলেমেয়েদের সেখান থেকে স্কুলে যাতায়াতের অসুবিধার কথা শোনা যাচ্ছে। তাই তার সম্ভাব্য নতুন বাসস্থান নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। তবে সবেচেয়ে বেশি করে আলোচনায় এসেছে ডাউনিং স্ট্রিটে পোষা বিড়াল ল্যারির কথা।
২০১১ সালে ডাউনিং স্ট্রিটে ইঁদুরের উৎপাত বন্ধ করার জন্য ল্যারিকে নিয়ে আসা হয়েছিল পোষা জন্তুদের দেখাশোনার একটি আশ্রয়ভবন থেকে।
মিঃ ক্যামেরন তার ব্যক্তিগত বিষয় আশয় সব নিয়ে গেলেও রেখে যাচ্ছেন প্রায় ৫ বছরের পোষা বিড়াল ল্যারিকে। ল্যারি পাচ্ছে নতুন মনিব – নতুন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-কে। ব্রিটেনের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ল্যারির গল্প এতটা ফলাও করে ছাপানোর একটা কারণ ব্রিটিশদের কুকুর ও বিড়াল প্রীতি সুবিদিত।
অনেক কাগজেই তাই প্রশ্ন উঠেছে ডেভিড ক্যামেরন তার বিড়াল ল্যারিকে কী আপন করে নিতে পেরেছিলেন এই পাঁচ বছরে? নিলে তাকে ফেলে যাচ্ছেন কীভাবে?
তবে ক্যাবিনেট অফিসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ল্যারি বিড়াল হলে কী হবে – সে তো সরকারি কর্মী? সে ডাউনিং স্ট্রিটে তার কাজেই বহাল থাকবে- কাজ করবে অন্য প্রভুর অধীনে। বিবিসি বাংলা।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *