আন্তর্জাতিক
গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাযজ্ঞে ২৪ জন দোষী সব্যস্ত
বিশেষ আদালত জানিয়েছে, দোষীদের মধ্যে ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে প্রত্যক্ষ জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অন্য ১৩ জনকে অন্যান্য অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে ৩৬ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ জুন আদালত দোষীদের সাজা ঘোষণা করবেন।
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি শেষ হয়। শেষ শুনানির প্রায় আট মাস পর এই মামলার রায় ঘোষণা করলেন আমেদাবাদের বিশেষ আদালতের বিচারক পিবি দেশাই।
এই রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মামলা বাদী এবং এই হামলায় নিহত সাবেক সংসদ সদস্য এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি। তিনি বলেন, ‘এই রায়ে আমি হতাশ। এই মামলায় ৩৬ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আদালত সুবিচার করেননি।’ সুবিচার পাওয়ার জন্য লড়াই অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান জাকিয়া জাফরি।
২০০২ সালে গুজরাটের গোধরা স্টেশনে সমরমতি এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়া হয়। এতে ৫৯ জন নিহত হন। এ ঘটনার একদিন পর ২৮ ফেব্রুয়ারি একদল উত্তেজিত জনতা আমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটি আবাসনে আগুন দেয়। এই হামলায় কংগ্রেসের সাবেক সংসদ সদস্য এহসান জাফরিসহ ৬৮ জন নিহত হন। এই হত্যাযজ্ঞ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন অসরতা আসনে বিজেপির বর্তমান সাংসদ বিপিন পটেল। ওই হত্যাকাণ্ডের সময়ও তিনি সাংসদ ছিলেন। তবে বিপিন পটেলকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জাকিয়া জাফরি এই হত্যাযজ্ঞে নরেন্দ্র মোদিসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান। এরপর তদন্তে নামে সুপ্রিম কোর্টে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল ‘সিট’। তবে ওই ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির কোনো হাত নেই বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়। সিট তাদের রিপোর্টে ৬৬ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে।