বিবিধ
গোবিন্দগঞ্জে গণধর্ষনের শিকার গার্মেন্টস কর্মী
মামলার অভিযোগে জানাগেছে, গণধর্ষনের শিকার ওই মেয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকার স্টিল মিল বাজারের মন বেকারী গলিতে জনৈকর বাসায় ভারা থেকে গার্মেন্টসে চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ করছিল। তার ওই বাসার পার্শ্বে ভারা থেকে বাসের হেলপর হিসাবে কাজ করতো নাকাই দক্ষিন পাড়া গ্রামের নূর আলম ও লিটন। প্রায় ১ বছর পূর্বে তাদের থেকে ওই গার্মেন্টস কর্মী মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে প্রতি নিয়ত আলাপ চারিতার এক পর্যায়ে প্রেম নিবেদন করে ডিপটি মিয়া। গত ১৫ দিন পূর্বে ডিপটি মিয়া তার কথিত মায়ের সাথে কথা বলায় এবং ওই মেয়েটিকে গোবিন্দগঞ্জের নাকাইহাটে তার বাড়িতে আসতে বলে। গত ১৯ এপ্রিল রাতে মেয়েটি চট্টগ্রাম থেকে ভাইবন্ধু পরিবহন বাসে রওনাদেয় এবং পরের দিন বেলা ১১ টায় ডিপটির কথামত বগুড়া শহরের চার মাথায় নামে। পরে তার কথায় আরেকটি বাসে মোকামতলায় আসে,সেখানে বিকাল সাড়ে ৩ টায় ডিপটির সাথে দেখা হয়। পরে মোটর সাইকেলে করে ডিপটি তাকে নাকাই হাটে তার ফুফাতো বোনের বাড়িতে নিয়ে আসে। সন্ধ্যায় ডিপটি মেয়েটিকে নিয়ে বের হয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাজুনিয়া পাড়ায় একটি বাঁশ ঝাড়ে দাড়াই। ভয় পেয়ে মেয়েটি দাড়ানোর কারন জানতে চাইলে ডিপটি বলে অভিভাবক দেখলে গলি গালাজ করবে তাই সুযোগ মত বাসায় জেতে হবে। এরপর মোবাইল ফোনে ডিপটি তার সহযোগী লিটন, সুলতান, সবুজ ও নূর আলমকে ডেকে নেয়। মেয়েটি তাদের আসার কারণ জিজ্ঞাস করা সাথেসাথে ওই লম্পটরা মুখ চিপে তাকে জাপটে ধরে ভযভীতি দেখে বাঁশ ঝরের অদুরে একটি ধান ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষন করে। আতঃপর তার হাতের ভ্যানিটি ব্যাগে রাখা ২০ হাজার টাকা ওই লম্পটরা বের করে নেয়। পারে রাস্তায় এসে একটি সিএনজি আটো রিক্সায় তুলে দেয় এবং চালক কে বাস কাউন্টারে পৌছে দিতে বলে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোজাম্মেল হক ধর্ষনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এধর্ষনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযান চালিয়ে এজাহার নামিয় দুই আসামিকে গ্রফতার করা হয়েছে।