দেশজুড়ে
চট্টগ্রাম ঝাউতলা বাজার থেকে জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার
খুলশী থানা প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের ঝাউতলা বাজার থেকে ১৮ এপ্রিল সকাল ১০টায় হাফেজ ইয়াসিন মজুমদার নামে এক জামায়াত নেতাকে এলাকাবাসি ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় জামায়াতনেতা মাহফুজুল আলমের লোকজন সরকারবিরোধী বিভিন্ন প্রাচার-প্রচারণা করে আসছিল বলে অভিযোগ পওয়া যায়। এ কারণে গত ১৪ এপ্রিল ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহম্মদ হোসেন হিরণ একটি সাধারণ ডাইরি করেন যার জি.ডি. নং-৬৩৩, খুলশি থানা। হাফেজ ইয়াসিন মজুমদারের কাছে তার নিজের হাতে লেখা একটি হ্যান্ডবিল পওয়া যায়, যাতে লেখা ছিল আওয়ামী লীগ সরকার নাস্তিক, এছাড়া আরো বিভিন্ন সরকারবিরোধী কথাবার্তা লেখা ছিল ওই হ্যান্ডবিলে। হাফেজ ইয়াসিন মজুমদারকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি এটি নিজে লিখেছি, আমার ভুল হয়েছে আমাকে ক্ষমা করুন, আমি কোন প্রকার নাশকতার সাথে জড়িত ছিলাম না। ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহম্মদ হোসেন হিরণ আমাদের জানান, “জামায়াত প্রার্থী মাহফুজুল আলমের লোকজন ও তার স্ত্রী এভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে আসলে তারা নির্বাচন চায় না, তারা রাজনৈতিক পরিবেশকে ঘোলাটে করে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়।” মোহম্মদ হোসেন হিরণ আরো বলেন, “গত ১৬ এপ্রিলে দৈনিক আজাদীসহ বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা হয় আমার লোকজন মাহফুজুল আলমের লোকজনকে জনসংযোগে বাধা প্রদান করছে এবং মাহফুজুল আলমের স্ত্রী ও নূরজাহান বেগমকে মারধর করেছে কিন্তু এটি মিথ্যা ও বানোয়াট কথা। আমি এটি করতে পারি না, কারণ আমি সত্যে বিশ্বাসী, আমি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।”এ ব্যাপারে নূরজাহান বেগম বলেন, তাকে কেউ মারধর করে নি, মাহফুজুল আলমের স্ত্রী তাকে ২০০ টাকা দেয় ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়, আর মাথায় ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দেয়, তিনি নিজেও তার হাতে ব্যান্ডেজ লাগান; তাকে নিয়ে এমন মিথ্যা সংবাদ প্রচার হওয়ার কারণে তিনি ১৮ এপ্রিল খুলশী থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন, যার জি.ডি. নং-৮০৩। এ ব্যাপারে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, হাফেজ ইয়াসিন এর বিরুদ্ধে মামলার ব্যাপারে কাজ চলছে, অতিদ্রুত তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।