আন্তর্জাতিক
জর্ডানে নারীসহ ২ ইরাকি জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
জর্ডানে বন্দি ইরাকি নারী জঙ্গি ও আল কায়েদার একজন জ্যেষ্ঠ নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ইসলামিক স্টেট (আইএস)তাদের কাছে বন্দি এক জর্ডানি পাইলটকে পুড়িয়ে হত্যা করার প্রতিক্রিয়ায় এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে দেশটির এক নিরাপত্তা সূত্র বুধবার জানিয়েছে।
মঙ্গলবার আইএস জর্ডানি পাইলট মোয়াজ আল কাসাসবেহকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করার ভিডিও প্রকাশ করে। প্রকাশিত ভিডিওটিতে যে নির্মমতা ধারণ করা হয়েছে তাতে পুরো বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে গেছে। প্রকাশিত ভিডিওর বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, ২২ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের ভিডিওর শেষ দিকে দেখা যায়, কালো রঙের খাঁচায় বন্দি একজনের পাশে আগুন জ্বলছে। এর ভেতরে করজোড় করে দাঁড়িয়ে আছেন ওই ব্যক্তি। এর আগে সানজিদা আল-রিশাওয়ি নামে আত্মঘাতী বোমা হামলা পারদর্শী আইএসের এক নারী সদস্যকে দ্রুত মুক্তির দাবি জানান আইএস। অন্যথায় পাইলট মায়াজ আল-কাসাসবেকে হত্যার হুমকি দেয় জঙ্গি সংগঠনটি।
আর এরপরই জর্ডানি কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছিল তারা বেশ কয়েকজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গির দণ্ড কার্যকর করবে। ইরাকি নারী জঙ্গি সাজিদা আল-রিশাবি ও ইরাকের আল কায়েদার জ্যেষ্ঠ নেতা জিয়াদ কারবোলির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ২০০৫ সালে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৬০ জন নিহত হয়েছিলেন। ওই বোমা হামলায় জড়িত থাকার দায়ে রিশাবিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে জর্ডানের আদালত। আর ২০০৮ সালে এক জর্ডানিকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড পান কারবোলি। জর্ডান তাদের কাছে বন্দি ইরাকি নারী জঙ্গি সাজিদা আল রিশাবি’র সঙ্গে কাসাসবেহকে বিনিময় করার প্রস্তাব দিয়েছিল।
ডিসেম্বরে সিরিয়ায় জর্ডানি পাইলট কাসাসবেহর জঙ্গি বিমানটি বিধ্বস্ত হলে তিনি আইএস জঙ্গিদের হাতে ধরা পড়েন। আইএস’র বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় জোট বাহিনীর পাইলট হিসেবে অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন কাসাসবেহ। সম্প্রতি হারুনা ইয়কুয়ক ও কেনজি গোতো নামে দুই জাপানি নাগরিককে হত্যা করে আইএস।