Connect with us

খেলাধুলা

জয় দিয়ে শুরু জিম্বাবুয়ের বিশ্বকাপ

Published

on

Zimbabwe v United Arab Emirates - 2015 ICC Cricket World Cupক্রিড়া প্রতিবেদক:
শক্তি ও অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকলেও বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কঠিন লড়াই করে তবেই জয়ের মুখ দেখল জিম্বাবুয়ে দল। বিশ্বকাপে নতুন এবং অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের খেলা শৈল্পিক ক্রিকেটের বিরুদ্ধে জয় টেস্ট খেলুড়ে দলটির প্রতিটি সদস্যেরই বেগ পেতে হয়েছিল। অপরদিকে বারবার ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিলেও অনভিজ্ঞতায় সে সুযোগ শেষ পর্যন্ত হাতছাড়া করেছে আমিরাত। নিউজিল্যান্ডের নেলসনের সেক্সটন ওভাল স্টেডিয়ামে গত কাল সকালে শুরু হওয়া ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে স্কোর বোর্ডে সাত উইকেটে ২৮৫ রান জমা করে আরব আমিরাত। সেই রান তাড়া করতে নেমে বেশ বিপদেই পড়ে জিম্বাবুয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত শন উইলিয়ামসের ব্যাটে ভর করেই দুই ওভার বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় আফ্রিকার দলটি।
ম্যাচের শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন আমিরাতের দুই ওপেনার আমজাদ আলি এবং এন্ডি বেরেনগার। কিন্তু দলীয় ২৬ রানে আমজাদ এবং দলীয় ৪০ রানের মাথায় বেরেনগার আউট হয়ে গেলে অস্বস্তিতে পড়ে যায় মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। আমজাদের উইকেটটি নেন চাতারা এবং বেরেনগার আউট হন সোলোমন মিরের বলে। তৃতীয় উইকেটে খুররাম খান এবং কৃষ্ণ চন্দ্রনের ৮২ রানের পার্টনারশিপে ঘুরে দাঁড়ায় আরব আমিরাত। দুই ব্যাটসম্যানই বেশ সাবলীলভাবেই মোকাবেলা করেন জিম্বাবুয়ের বোলারদের। কিন্তু দলীয় ১২২ রানের মাথায় ৩৪ রান করে কৃষ্ণ চন্দ্রন জিম্বাবুইয়ান বোলার সোলোমন মিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হলে তৃতীয় উইকেট হারায় আরব আমিরাত। এরপর দলীয় ১৩৪ রানের মাথায় খুররাম খান ৫৫ বলে ৪৫ রান করে আউট হলে খেলায় ফিরে আসে জিম্বাবুয়ে। এরই মধ্যে সাইমান আনোয়ার ৫০ বলে ৬৭ রানের ইনিংসটি বিপাকে ফেলে দিয়েছিল জিম্বাবুয়েকে। মূলত এই ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের মারকাটারি ব্যাটিংয়ে কোনঠাসা হয়ে পড়ে জিম্বাবুইয়ান বোলাররা। নয় চার এবং এক ছয়ে সাইমান তার ইনিংসটি সাজান। শন উইলিয়ামস যখন ৪৫ তম ওভারের প্রথম বলে সাইমানের উইকেটটি তুলে নেন তখন আরব আমিরাতের স্কোর দাঁড়ায় সাত উইকেটে ২৩৪ রান। আমজাদ জাভেদ এবং মোহাম্মদ নাভিদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ পাঁচ ওভারে ৪৩ রান যোগ করে আমিরাত। আমজাদ ১৯ বলে অপরাজিত ছিলেন ২৫ রানে, অন্যদিকে মোহাম্মদ নাভিদ ১৭ বল খেলে করে করেন ২৩ রান।
ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার বেশ আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়েই শুরু করেন। সিকান্দার রাজা এবং রেজিস চাকাভা ১৩ ওভারে ৬৪ রান যোগ করে বেশ ভালো শুরু এনে দেন জিম্বাবুয়েকে। কিন্তু ১৩তম ওভারের শেষ বলে সিকান্দার রাজা ৪৬ রান করে মোহাম্মদ তৌকিরের বলে আউট হলে প্রথম উইকেট হারায় এলটন চিগম্বুরার দল। দলীয় ৭২ রানের মাথায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে আমিরাতকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক-থ্রো এনে দেন আমজাদ জাভেদ। মাসাকাদজা আউট হওয়ার পর ব্রেন্ডন টেইলর এবং রেজিস চাকাভা ৪০ রানের পার্টনারশিপ করে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু দলীয় ১১২ রানের মাথায় চাকাভা হিট উইকেট হলে তৃতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর টেইলর দলীয় ১৪৪ রানের মাথায় নাসির আজিজের বলে এলবিডব্লিউ হলে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে জিম্বাবুয়ের। টেইলর আউট হওয়ার আগে দলীয় খাতায় ৪৭ রান যোগ করেন। এরপর মারকুটে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সলোমন মিরে দলীয় ১৬৭ রানে মোহাম্মদ নাভিদের বলে আউট হলে বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ১৬৭ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে যখন চরম বিপদে জিম্বাবুয়ে। তখনই শন উইলিয়ামস এবং ক্রেইগ আরভিন ৬২ বলে ৮৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে সব শঙ্কা কাটিয়ে দেন। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে এই দুই ব্যাটসম্যান ৪৫ রান যোগ করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। ৩২ বলে ৪২ রান করে দলীয় ২৫০ রানের মাথায় আউট হন ক্রেইগ আরভিন। ক্রেইগ আরভিন আউট হলেও শন উইলিয়ামস অধিনায়ক এলটন চিগম্বুরাকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ৩৬ রান যোগ করে শেষ পর্যন্ত দলকে স্বস্তির জয় এনে দেন। ব্যক্তিগত ৭৬ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন শন উইলিয়ামস।সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সংযুক্ত আরব আমিরাত: ৫০ ওভারে ২৮৫/৭ (আমজাদ ৭, ব্যারেঙ্গার ২২, কৃষ্ণ ৩৪, খুররম ৪৫, স্বপ্নিল ৩২, আনোয়ার ৬৭, মুস্তফা ৪, জাভেদ ২৫*, নাভেদ ২৩*; চাটারা ৩/৪২, মায়ার ২/৩৯, উইলিয়ামস ২/৪৩)।
জিম্বাবুয়ে: ৪৮ ওভারে ২৮৬/৬ (রাজা ৪৬, চাকাভা ৩৫, মাসাকাদজা ১, টেইলর ৪৭, উইলিয়ামস ৭৬*, মায়ার ৯, আরভিন ৪২, চিগুম্বুরা ১৪*; তৌকির ২/৫১, জাভেদ ১/৪৯, নাসির ১/৫৩, কৃষ্ণ ১/৫৯, নাভেদ ১/৬০)

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *