জাতীয়
”তামিম চৌধুরীর অধ্যায় শেষ”
অভিযান শেষে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘হিট স্ট্রং ২৭’ নামের এ অভিযানে তামিম চৌধুরীসহ তিনজন মারা গেছে। অপর দুইজনের নাম জানা যায়নি। তবে তারা তামিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে সন্দেহ করছি। এ ব্যাপারে আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কাজ করছে। এ ব্যাপারে আপনাদের পরবর্তীতে জানানো হবে।
তিনি বলেন, তামিম চৌধুরী গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড। সারা দুনিয়াতেই তাকে খোঁজা হচ্ছিল। আমরাও তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছিলাম। সে শোলাকিয়া, গুলশান হামলাসহ বিভিন্ন জঙ্গি হামলার মদদদাতা এবং অর্থের যোগানদাতা।
তিনি আরও বলেন, মধ্যরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের শুরুতে আত্মসমর্পনের সুযোগ দিলেও তারা গ্রেনেড ও গুলি ছোড়ে। পরে সেখান থেকে তিন জঙ্গির লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে জঙ্গিরা সংখ্যায় খুবই অল্প। জনগণ তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়না। তারা যেখানেই থাকুক না কেন আমরা তাদের ধরে ফেলব।
তামিম চৌধুরীর মৃত্যুতে জঙ্গিসম্পর্কিত তথ্যের যোগানে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলো কি না- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা জীবিত অবস্থায় কতটুকু তথ্য দিবে বা না দিবে সেগুলো আমাদের কাছে কোন ব্যাপার নয়। আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ কাজ করছে। তাদের কাছে সঠিক তথ্য রয়েছে।