Connect with us

জাতীয়

ধামরাইয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা

Published

on

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, ঢাকা: বুধবার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ে ঢুলিভিটা বাসষ্ট্যান্ডে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবি জানিয়ে ধামরাই,সাভার,আশুলিয়া, সাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জে কর্মরত শতাধিক সাংবাদিক এ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এতে ধামরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন জয়, সাভার প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মিথুন সরকার, সাটুরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি অলক রায়, সাধারন সম্পাদক শাহজাহান সরদার, আশুলিয়ায় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান নিপু, ইটিভি সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হুদা, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর সাভার প্রতিনিধি অপু ওহাব,সংবাদিক শামীম খান, আবু হাসান,আবদুর রশিদ তুষার, আনিস উর রহমান স্বপন, আজহারুল ইসলাম রাজু, মোকলেছুর রহমান, গোলাম মেরাজ ফিরোজ, যাদবর্পু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, কুশুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার মাহবুব তুষার, ধামরাই সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় বক্তরা বলেন ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান বক্তারা। এছাড়া বাল্য বিয়ের ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন গণমাধ্যম কর্মীরা।
উল্লেখ্য সাংবাদিককের উপর হামলার ঘটনায় ১৮জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গত ১৭ আগষ্ট উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের শুলাবাড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ও বান্নল লাক্ষু হাজী উচ্চ বিদ্যালয়ের নমব শ্রেণির ছাত্রী রেশমার বিয়ের দিন ধার্যছিল। ওই বাল্যবিয়ের সংবাদ সংগ্রহ করতে কনের বাড়ীতে যান ধামরাই প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক বাবুল হোসেন, দৈনিক নতুন খবর পত্রিকার ধামরাই প্রতিনিধি রাজেনুর রহমান রাজিব সহ তিন সাংবাদিক। এসময় তাদের উপর বর-কনের লোকজন হামলা চালিয়ে এলোপাতারীভাবে কিল,ঘূষি লাথি ও লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করে। এতে গুরুতর আহত হয় বাবুল হোসেন। এসময় তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল,ক্যামেরা ও সাত হাজার টাকা। এক পর্যায়ে একটি ঘরের ভিতর নিয়ে বাবুলকে জবাই করার প্রস্তুতি নেয় সন্ত্রাসীরা। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন উপস্থিত হলে প্রানে রক্ষা পান বাবুল। তাকে পুলিশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ৭দিনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে কোন জোড়ালো ভূমিকা না থাকায় গণমাধ্যমকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে অতি দ্রুত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানান।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *