Connect with us

দেশজুড়ে

নীলফামারীতে নকলনবিশদের কর্মবিরতি, জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভোগান্তি

Published

on

সুমন মুখার্জী, নীলফামারী: চাকিরী জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে নীলফামারীতে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত নকলনবিশদের (এক্সট্রা মোহরার) অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে সেখানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা নকলনবিশ সমিতির সভাপতি হর্ষবর্ধন রায়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, নকল নবিশ সাইফুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, জাহেনুর ইসলাম, সুরত আলী, ডালিম চন্দ্র রায়, শাহ আলম প্রমুখ।

এ দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তারা তাদের কর্মসুচি চালিয়ে যাবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন। ফলে জমি ক্রেতা বিক্রেতারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

বাংলাদেশ এক্সট্রা মোহরা সমিতির কিশোরগঞ্জ শাখার (রেজিঃ বি-১৭৪৬) সভাপতি আনিছুর রহমান বলেন, আমাদের ৩৫ জন নকলনবিসরা দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে বকেয়া বিল পাচ্ছেননা। তাদের পরিবার খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। আমাদের স্কেলভুক্ত করার দাবি মেনে নেওয়া হয়নি এবং কর্মচারিদের জাতীয় বেতন স্কেলও বাস্তবায়ন করা হয়নি। এছাড়াও নারী নকলনবিসরা মাতৃত্বকালিন ছুটি ভোগ করার সময় কোন পারিশ্রমিক পাননা। ফলে আমাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে না নেওয়ায় সকল নকলনবিসরা সরকারী ছুটিসহ নানাবিধ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সুত্রটি আরো জানায়, স্থায়ী মহরার সংখ্যা বৃদ্ধি না করে ১৯৩৬ সালে সৃষ্টি করা হয় এক্সষ্ট্রা মোহরার পদটি। সারাদেশে প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি নকলনবিসরা অস্থায়ীভাবে কর্মরত আছে। কিন্তু সৃষ্টিলগ্ন থেকেই এই অস্থায়ী পদের কর্মচারীরা চাকরি স্থায়ী করনের আন্দোলন করে আসছেন। বারবার আশ্বাস দিয়েও তা কার্যকর হয়নি। নকলনবিসরা রেজিষ্ট্রিকৃত জমির দলিল স্থায়ীভাবে সরকারী ভলিয়ম বইতে লেখার কাজ করে থাকেন। যাদের লেখায় তৈরী হয় স্থায়ী রেকর্ড তারাই আজ অবহেলিত ও বঞ্চিত। কাজ করলে টাকা না করলে নেই। এই অযৌক্তিক নীতিতে নকলনবিসরা আর কাজ করবেনা।

আজ বৃহস্পতি জমি বিক্রি করতে আসা ইটাখোলা ইউনিয়নের কাঠগাড়ী গ্রামের সফিকুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে । বিয়ের কেনাকাটা করার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই আমি নীলফামারী সাব-রেজিষ্টার অফিসে গতকাল থেকে ঘুরছি ক্রেতাকে জমির দলিল দেওয়ার জন্য কিন্তু নকলনবিসদের কর্মবিরতীর কারনে জমি রেজিষ্ট্রি হচ্ছেনা।

জেলা নকলনবিশ সমিতির সভাপতি হর্ষবর্ধন রায়ের বলেন, নকলনবিসদের কর্মবিরতীর কারনে সাকিন, জাবেদা নকল, রেজিষ্ট্রিকৃত দলিলের সার্চিংসহ অন্যন্য কাজ বন্ধ থাকায় গ্রহীতারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *