Connect with us

দেশজুড়ে

নীলফামারীতে শীতের তীব্রতায় হাসপাতালে বাড়ছে রোগী

Published

on

সুমন মুখার্জী, নীলফামারী: হিমালয় পাদদেশ ঘেঁষা সর্ব উত্তরের জেলা নীলফামারীতে পৌষের শুরুতেই কনকনে বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাঁড় কাপানো শীতের প্রকোপ। এবারের শীতেও এর ব্যতিক্রম নয়। সারাদিন বইছে ঠাণ্ডা কনকনে বাতাস সেই সাথে হাড় কাঁপানো শীত। প্রচণ্ড শীতের কারণে একদিকে যেমন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের চলাফেরা কষ্ট হয়ে পড়েছে। অপরদিকে শীতের প্রকোপে ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়াসহ শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে শিশুরা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা কাজ-কর্ম করতে না পারায় পড়েছে বিপাকে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বাড়ায় হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের। রোগীর সংখ্যা অতিরিক্ত হয়ে সিট না থাকায় মেঝেতে জায়গা মিলেছে অনেক রোগীর।

সাধারণ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতাল। সেখানে অভিভাবকরা তাদের শিশুদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছেন। হাসপাতালটিতে শিশু ওয়ার্ডে জায়গা সংকটের কারণে মেঝেতে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।আর সেখানেই চলছে চিকিৎসা।

নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতাল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড গুলোতে গত এক সপ্তাহে ঠাণ্ডাজনিত রোগে প্রায় দুই শতাধিক শিশু ভর্তি হয়েছে। এছাড়া বর্হিবিভাগ থেকে এক হাজার শিশু চিকিৎসা নিয়ে গেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এই প্রচণ্ড শীতে শ্বাসকষ্টসহ পানি বাহিত বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পেতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল সূত্রে অারও জানা যায়, সর্দি-জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর ভিড় বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার শীতজনিত কারণে কোল্ড ডায়রিয়ায় ১২ শিশু, নিউমোনিয়ায় ৫৯ শিশু এবং শ্বাসকষ্টে ৬৮ জন বয়স্ক পুরুষ ও আট নারী ভর্তি হয়েছে। এছাড়া গত দুদিনে শীতজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৮৩ জন।

এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিলীপ কুমার রায় বলেন, হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তনের পার্থক্যটা খুব বেশি হওয়ায় অন্যান্য বয়সের তুলনায় ঠাণ্ডাজনিত রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, অভিভাবকরা একটু সচেতন হয়ে শিশুদের যত্ন নিলেই ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

এদিকে, আজ শুক্রবার দিনভর নীলফামারীর আকাশ ছিল কুয়াশায় ঢাকা। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না লোকজন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *