দেশজুড়ে
নীলফামারীতে সংস্কারের অভাবে সেতু ঝুঁকিপূর্ণ, লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ
সড়কটি দিয়ে ডোমার, ডিমলা, দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড়, তেঁতুলিয়া, বাংলাবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, বোদাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শতাধিক যানবাহন প্রতিদিন চলাচল করছে। এদিকে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ দায় সেরেছে সেতুর দুই প্রান্তে শুধু সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েই এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। যে কোনও সময় সেতুটিতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর পূর্বপ্রান্তের রেলিং ভেঙে পড়েছে। এটির মধ্যস্থলে পাটাতন ভেঙে গেছে। সেখানে লোহার পাত দেয়া হয়েছে। সেতুর মাঝখানের মূল খুঁটির গোড়ায় গাঁথুনির ইট খুলে পড়েছে। সেতুর দুই প্রান্তে সড়কে দুটি করে চারটি গতিরোধক এবং চারটি লোহার খুঁটি বসানো হয়েছে। ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দুই প্রান্তে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।
কচুয়া চৌরঙ্গি স্কুল এ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্রী আয়েশা খাতুন বলেন, সেতুটি দিয়ে বাস কিংবা ট্রাক পারাপার হলে আমরা এপাড়ে কিংবা ওপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকি কারণ যে কোন মুহূর্তে সেতুটি ধসে পড়তে পারে। তিনি অারও বলেন, সেতুটি ভয়ংকর অবস্থায় থাকলেও কোন উদ্যোগ নেই, পরিবর্তন করার।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র মতে, সদর উপজেলার কচুয়ার ওই সেতুটি ২৬ মিটার দীর্ঘ। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় এক বছর আগে ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দুই প্রান্তে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড টাঙিয়ে গতিরোধক দেয়া হয়। সেতুর ভাঙা রেলিংয়ের স্থানে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে। যাতে যানবাহনের চালকরা ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর অবস্থান বুঝতে পারেন।
ট্রাক চালক সফিকুল ইসলাম জানান, সেতুটির উপর দিয়ে চলাচল করছি কিন্তু ঝুকিঁ থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে রাতে পারাপার করা দুরুহ ব্যাপার। যারা যানবাহন নিয়ে নতুন আসেন তাদের জন্য তো ভয়াবহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। দ্রুত সেতুটি মেরামত করা প্রয়োজন।
ঝুকিঁপুর্ণ সেতুর কথা স্বীকার করে সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, আমরা পরিষদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানিয়েছি। তারা এখনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। দিনে রাতে প্রায় চার’শ যান বাহন চলাচল করে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপাতত যান চলাচলের জন্য সতর্কমুলক নির্দেশনা জারি করেছে সড়ক বিভাগ।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নীলফামারীর নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম হামিদুর রহমান বলেন, সেতুটি মেরামতের উপযোগী না হওয়ায় নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। নির্মাণে প্রয়োজন হবে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। প্রায় পাঁচ মাস আগে মন্ত্রণালয়ে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এখনও অনুমোদন পাওয়া যায়নি।’ তবে প্রকল্প অনুমোদন হয়ে আসলে দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে সেখানে।
তিনি অারও বলেন, যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য সেতুর দু’দিকে নোটিশ টানানোসহ স্পিড ব্রেকার দেয়া হয়েছে।
বিডিপত্র/আমিরুল