Connect with us

দেশজুড়ে

নড়াইলে মেলার নামে চলছে জমজমাট লটারি খেলা

Published

on

1444733459

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল: নড়াইলে তাত বস্ত্র ও হস্তশিল্প মেলায় জমজমাট লটারির নামে জুয়া চলছে । পুরস্কারের লোভে শিশুরা টিফিনের টাকা দিয়ে কিনছে লটারির টিকিট । স্কুল পড়–য়া শিশুসহ দিনমজুর শ্রেণীর মানুষ ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয় অনেক পরিবারে লটারির টিকিট কেনা নিয়ে চলছে ঝগড়া বিবাদ অশান্তি। অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধির আশংকা। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা সংস্থার আয়োজনে চলতি মাসের ১৪ জানুয়ারি শহরের কুড়িডোব মাঠে এ মেলার উদ্ধোধন হয় । উদ্ধোধণী দিন থেকে র‌্যাফেল ড্র নামের লটারি নামক এক প্রকার জুয়ার জমজমাট ব্যবসা চলে আসছে। ৬৪টি ভ্যান- ইজিবাইকের মাধ্যমে শহর থেকে প্রত্যান্তগ্রামাঞ্চলে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার টিকিট বিক্রি করছে আয়োজকরা । অভিযোগ রয়েছে বিক্রির যতসামান্যই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। বাকি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে লটারির মালিকরা । সরেজমিন দেখা গেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুসহ স্কুল-কলেজ পড়–য়া কিশোর-কিশোরিরা পুরস্কার পাওয়ার লোভে প্রতিদিন টিফিনের টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কিনছে। কমলমতি শিশুদের টিকিট কেনার বিষয়টি নিয়ে অভিভাবক মহলেও ক্ষোভের স্মৃস্টি হয়েছে। বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কালাম ফকির জানিয়েছেন, ভ্যানচালকসহ দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের লটারির টিকিট কিনতে গিয়ে সংসার অচল হয়ে পড়ছে। অনেকে দিন ভর যেটাকা আয় করছে তাদিয়ে চাউল না কিনে টিকিট কিনে ঘরে ফিরছে। এতে করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হচ্ছে। অনেক পরিবারের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা অনাহারে থাকছে। নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, সামাজিত অবক্ষয় এর একটি মাধ্যম হচ্ছে লটারি । ছোট ছোট কমলমতি শিশুরা তাদের টিফিনের জন্য আনা টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কিনছে । এছাড়া বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দিনমজুর পেশার মানুষ। অবৈধ লটারির ব্যবসা বন্ধ না হলে সামাজিক অবক্ষয় দিনদিন বৃদ্ধি পাবে এবং এর প্রভাবে চুরি.ডাকাতিসহ নানা অপরাধ ঘটতে পারে সমাজে। জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ বলেছেন,আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সময়ই এ সকল অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার চেস্টা করি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য স্থানীয়দের কারণেই আমাদের মেলার অনুমতি দিতে হয় । মেলায় র‌্যফেল ড্র হয়ে থাকে । স্থানীয়রা যদি সচেতন হন তাহলে ক্ষতিটা বর্জন করে ভালটাই গ্রহন করবেন। তিনি আরো বলেন স্থানীয়দের চাপের কারনেই অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *