Connect with us

ঢাকা বিভাগ

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে টানা লোডশেডিং হুমকীর মুখে বোরো আবাদ

Published

on

Untitledহারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি ঃ

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় মৌসুমের শেষ নাগাদ এসে টানা লোডশেডিং ও তীব্র তাপদাহর কবলে পড়ে চরম হুমকীর মুখে পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকার বোরো ফসল।

প্রতিদিন দফায় দফায় ৪ ঘন্টা করে টানা লোডশেডিং আর বৈশাখের তীব্র খড়তায় ফেটে চৌচির উপজেলার বোরো মাঠগুলো। এতে অধিকাংশ ফসলী মাঠের থোরধান পানির অভাবে চিটা হয়ে যাচ্ছে। ফলে এ বছর ব্যাহত হচ্ছে উপজেলার বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা এবং নিঃস্ব হয়ে পড়ার আশংকায় কৃষকরা।

উপজেলা পল্লি বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানান, “ ক’মাস আগে ৬ ঘন্টা লোডশেডিং দেওয়ার আদেশ থাকলেও সম্প্রতী সরকার তা পরিবর্তন করে ৮ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের বিধান করেছেন, তাই আমাদের কিছুই করার নেই”।

চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ২ হাজার একর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এসব জমিগুলো আবাদের জন্য বসানো হয়েছে প্রায় ৯শ’ ৪৫টি বিদ্যুৎ চালিত পাম্প। গত ৩ মাস ধরে কৃষকরা ধানী জমিতে সর্বস্ব পুজি বিনিযোগ করে ফলনের সময়ে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে ধানের বদলে পাচ্ছে চিটা।

বোরো চাষী আঃ ছাত্তার (৩৮) জানায়, “ মৌসুমের শুরুতে ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার টাকা লোন নিয়ে ৬ বিঘা জমিতে একটি মটর চালিত পাম্প বসিয়ে ব্লক শুরু করেছিলাম। কিন্তু হত এক মাস ঘরে টানা লোডশেডিং এ ধানক্ষেতগুলো পানির অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে সব থোর ধান জ্বলে চিটা হয়ে গেছে”। এছাড়া অন্য চাষীরা জানান, এক মাস ধরে দিনের বেলায় ভয়াবহ লোডশেডিং ও তীব্র তাপদাহ অব্যাহত থাকার কারনে বোরো মাঠগুলো বড় বড় গর্ত হয়ে ফাটল দেখা দেখা দিয়েছে। সন্ধ্যা থেকে দফায় দফায় এক বা দেড় ঘন্টা বিদ্যুৎ চালু থাকার পর টানা ৪ ঘন্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। ফলে ফাটলকৃত বোরো মাঠে জ্বালানী তেলের পাম্প দিয়ে পানি দিলেও কোনো উপকার আসছে না। ফাটল মাঠে পানি নিচে চলে যাচ্ছে।

তাই এ বছর বোরো ফসল উৎপাদনে ধ্বস নামবে বলে চাষীরা জানিয়েছেন এবং কৃষকরা হারাবে তাদের পুজিঁ। আগ্রহ হারাবে ফসল উৎপাদনে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করেছে ভুক্তভোগী কৃষকেরা।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *