ঢাকা বিভাগ
ফরিদপুরে প্যানেল ভুক্ত শিক্ষকদের মানববন্ধন
৯ এপ্রিল ২০১২ সালের লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সরকার একটি প্যানেল তৈরী করেন। প্রথম ধাপে উক্ত প্যানেল থেকে বেশকিছু শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুসারে উপজেলা মেধাক্রম অনুসারে প্যানেল থেকে শিক্ষক নেওয়া হবে বলে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। এর মধ্যে সরকার উক্ত বিদ্যালয় গুলোকে সরকারী ঘোষনা করে। ফলে ঝুলে যায় প্যানেল ভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ।প্যানেল ভুক্ত শিক্ষকরা তাদের নিয়োগের জন্য হাইকোর্টে রিট করলে কোর্ট তাদের নিয়োগের জন্য নির্দেশ দেয়। গত ৬ জুন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সদ্য জাতীয়করনকৃত বিদ্যালয় গুলোতে মেধাক্রম অনুসারে প্যানেল থেকে শূন্য পদে ৭ দিনের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দেয়। খবরটা খুশির হলেও কপাল পুড়েছে অনেক প্যানেল ভুক্ত শিক্ষকের কারন ইতিমধ্যে সরকারী স্কুল থেকে উক্ত স্কুল গুলোতে শিক্ষক এসে অনেক শূন্যপদ পুরন করে ফেলেছে। তাই বর্তমানের শূন্য পদ হিসাব করলে বাদ পড়ে অনেক প্যানেল ভুক্ত শিক্ষক। এ ছাড়াও এমন শিক্ষকও আছেন যারা হাইকোর্টে রিট করে রায় পেয়েছেন অথচ মেধাক্রম হিসাব করলে তারা বাদ পড়ে যায়। ঘটনাটা এমন যার জন্য রামের মা তারে তোমরা চিনলানা। সব মিলিয়ে নিয়োগ বঞ্চিত এ সব শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা আর ক্ষোপ বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ১২ টা পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধনে অংশ নেয়। এ সময় তারা সকল প্যানেল ভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট জোড়াল দাবী জানান এবং ডিপিও ও ডিসির নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। ফরিদপুর প্যানেল ভুক্ত শিক্ষদের সভাপতি সুব্রত সাহা বলেন গত ৫ বছর আমরা অপেক্ষায় ছিলাম চাকুরিটি পাব বলে এখন তা না হলে মৃত্যু ছাড়া পথ থাকবে না।
এ নিয়োগের ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শিব পদ দে বলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশ অনুসারে নব সরকারী বিদ্যালয় গুলোর শূন্য পদে প্যানেলের মেধাক্রম অনুসারে নিয়োগ পাবে। পর্যায়ক্রমে সকল প্যানেল ভুক্ত শিক্ষকই নিয়োগ পাবে।