ঢাকা বিভাগ
ফরিদপুর সিএন্ডবি ঘাটের টেন্ডারে অনিয়ম
হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর সদর উপজেলার সিএনডবি ঘাটের টেন্ডার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সিএন্ডবি ঘাটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীগন অভিযোগ করেন, সরকারের নিয়ম অনুযায়ী মাইকিং করাও বিজ্ঞপ্তির /নোটিশের মাধ্যমে জানানোর কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ নিয়মের তোয়াক্কা করনে নাই। উল্লেখ্য স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়াম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবহিত করার নিয়ম রয়েছে। সরকারী নিয়ম কানুন না মেনে কিছু সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীদের সাথে আতাত করে ১ম দফা টেন্ডার আহবান করে। অভিযোগ রয়েছে বর্তমান ইজারাদার ড্রেজিং ও জমি ভাড়া বাবদ ক্ষতিপূরনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোন উত্তর না পাওয়ায় সাবেক ইজারাদার বাধ্য হয়ে মহামান্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে। এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষ ১ দফা টেন্ডার আহবান করে । বর্তমান ইজারাদার বলেন, বিগত বছরে আমরা অনেক লোকসান ও দেনার মধ্যে ছিলাম। পূর্বের ইজারার মেয়াদ আরো ৪৫ দিন বাকী আছে। হাইকোর্টে মামলা থাকার কারনে সাবেক ইজারাদার গন ১ম দফার টেন্ডারে অংশগ্রহন করতে পারে নাই। বর্তমান ইজারাদার গন ১ম দফার টেন্ডারের ৫% বেশী দিতে ইচ্ছুক রয়েছেন। তাই ২য় দফা টেন্ডার আহবান করলে ১ম দফার চেয়ে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা বেশী রাজস্ব আয় সরকার পাবে। তাহলে ২য় দফা টেন্ডার আহবানে বাধা কোথায় ? তাহলে কি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন স্বার্থ কাজ করছে। ২য় দফা টেন্ডার আহবান করার জন্য ফরিদপুরের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী রিয়াজ আহমেদ শান্ত ৪৫ লক্ষ টাকা সিকিউরিটি জমা করে বিআইডব্লিউডিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন। বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের মধ্যে কথা উঠেছে এবং খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, বিআইডব্লিউটিএ’র অসাধু কর্মকর্তা উপ-পরিচালক (আরিচা) আবু সেলিম রেজা ১ম দফার টেন্ডার বাস্তবায়ন করার জন্য পায়তারা করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীগন কর্তৃপক্ষকে ২য় দফার টেন্ডার আহবান করার জন্য আহবান জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের সামান্য ভুলের জন্য সরকার হারাবে তার বিপুল পরিমান রাজস্ব। বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক আবু সেলিমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ১ম দফার টেন্ডারে আমরা কাংখিত দর পেয়েছি ২য় দফা টেন্ডার আহবান করে অতিরিক্ত রাজস্ব আয় বাড়ানোর দরকার নাই, বলে টেলিফোন রেখে দেন।